তিন দফা দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাইনিং হল কর্মচারী সমিতি।
দাবিগুলো হলো চাকরি স্থায়ী করা, চাকরির বয়সসীমা ৬৫ বছর করা ও কর্মচারীদের স্বাস্থ্য বিমার আওতায় আনা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের একান্ত সচিব আনোয়ার হোসেনের কাছে রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তারা স্মারকলিপি জমা দেন। এর আগে তারা সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শেষে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
ডাইনিং কর্মচারী আসাদ মিয়া বলেন, ‘আমি যখন কাজ শুরু করি তখন আমার বেতন ছিল ৫০ টাকা। ৩৭ বছর কাজ করে এখন বেতন পাই ৮ হাজার টাকা। এই টাকা দিয়ে সংসার চলে না। আমাদের চাকরিও স্থায়ী না। দীর্ঘদিন ধরে আমরা প্রশাসনকে বলছি কিন্তু কেউ কিছু করছে না।’
আরেক কর্মচারী রোজিনা ইসলাম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ কর্মচারী যে টাকা বেতন পায় আমরা তার চার ভাগের এক ভাগও পাই না। আমাদের সন্তানরা একটু ভালো খাবার খেতে চাইলে খাওয়াতে পারি না।
‘আমরা শিক্ষাভাতা পাই ৫০০ টাকা, অন্য কর্মচারীরা পায় ১ হাজার টাকা। এই টাকা দিয়ে সন্তানদের কীভাবে পড়াব? সব ক্ষেত্রে আমরা বৈষম্যের শিকার।’
আন্দোলনে নামলে প্রশাসন আশ্বাস দেয় কিন্তু পরে বিষয়টির সমাধান হয় না বলে অভিযোগ করেন কর্মচারী সমিতির সভাপতি মো. মনির।
তিনি বলেন, “যখনই কোনো প্রভোস্টের কাছে দাবিদাওয়া নিয়ে যাই তারা বলেন, ‘নতুন এসেছি, পরে এসব নিয়ে আলোচনা করব।’ তারপর বছর পার হলেও তাদের খবর নেই। আমরা যখন আন্দোলনে নামি তখন তারা আমাদের আশ্বাস দেন। পরে সব ভুলে যান। আমাদেরকে দেখার কি কেউ নেই?”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট কমিটির সভাপতি মুজিবুর রহমান বলেন, ‘ইউজিসি থেকে নিয়ম রয়েছে পোস্ট ছাড়া কাউকে রিক্রুট করা যাবে না। আমি ভিসি ম্যাডামকে জানিয়েছি, তিনি বলেছেন বিষয়টি নিয়ে বসবেন।’