সুন্দরবন উপকূলে পশুর নদীর চর এলাকা থেকে এক জেলের মরদেহ উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড ও পুলিশ।
নদীর জয়মনি এলাকা থেকে রোববার সকালে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত জেলের নাম বিধান হালদার। ৫৮ বছরের বিধান মোংলার চিলা ইউনিয়নের দাসের খণ্ড গ্রামের বাসিন্দা।
সুন্দরবন উপকূলের বঙ্গোপসাগরের ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকায় গত ৪ ফেব্রুয়ারি ৩২ ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজদের খুঁজতে গিয়ে বিধানের মরদেহ পাওয়া গেছে।
মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ওসি বলেন, গত ২৮ জানুয়ারি জেলে বিধান হালদার বনবিভাগ থেকে অনুমতি নিয়ে সুন্দরবনে মাছ ধরতে যান। সেই থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন। আজ সকালে পশুর নদীর মোহনায় তার মরদেহ ভেসে উঠলে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
এ দিকে ৩২ ট্রলারডুবির ঘটনায় শতাধিক জীবিতসহ দুই জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নতুন করে কেউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
সর্বশেষ ৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় সুন্দরবনের দুবলার চরের দক্ষিণে অবস্থিত ডুবোজাহাজ চর এলাকা থেকে মামুন শেখ ও মো. ইসমাইল শেখ নামে ওই দুই জেলের মরদেহ উদ্ধার করে কোস্টগার্ডের সদস্যরা।
মোংলা কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আব্দুর রহমান জানান, নিখোঁজ জেলেদের সন্ধানে কোস্টগার্ডের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
তবে, দুবলার চরের অবস্থান করা একাধিক জেলে জানান, ট্রলার ডুবির ঘটনায় পর থেকে দুবলার চরে অবস্থান করা অন্য জেলেরা শতাধিক জেলেকে উদ্ধার করে। এখনও ১৯ জেলে নিখোঁজ রয়েছে বলে দাবি চরে অবস্থান করা জেলেদের।