দক্ষিণাঞ্চলের জেলা মেহেরপুরে বৃষ্টি ও দমকা বাতাস শেষে এক দিনে ৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা কমে গিয়ে শুরু হয়েছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ।
দুদিন ধরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ও দমকা বাতাস শেষে শনিবার সন্ধ্যা থেকেই কনকনে শীত শুরু হয়েছে জেলায়।
সকালের দিকে শীতের তীব্রতা বেড়ে গেছে কয়েকগুণ। কাজের সন্ধানে ছুটতে দেখা গেছে নিম্নআয়ের শ্রমজীবী মানুষদের।
এ শীতে কষ্টের মধ্যে আছে ছিন্নমূল ও ভাসমান মানুষ। বিশেষ করে নদী ভাঙন এলাকা থেকে এসে আশ্রয় নেয়া ভাসমান মানুষগুলো আছে চরম দুর্ভোগের মধ্যে। এ ছাড়া বৃষ্টি শেষে ঠান্ডায় বাড়ছে শীতজনিত রোগও।
ছাগল ব্যবসায়ী মনিরুল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মেঘলা আবহাওয়া ও বৃষ্টি চলে যাওয়ার পরে রোদ উঠলেও চরম শীত পড়ছে। শরীর টাটি যাইছে।’
নদী ভাঙন এলাকার সাজু বলেন, ‘আমরা বাইল বাচ্চা নিয়ে শীতে খুব কষ্টে আছি। খোলা জায়গাই থাকি। বাইরে বের হইলে কম্বল জড়াইয়ে বাহির হয়া লাইগছে।’
নদী ভাঙন এলাকার শাহিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘খুব শীত পড়ছে। তাবুর মধ্যেই থাকা লাগছি। বাইরে আসলে আগুন জালাতে হইছে। শীতে খুব কষ্ট হইছে।’
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, এ এলাকায় শনিবারের চেয়ে ৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা কম। রোববার সকাল ৬টায় এ অঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুরু হয়েছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ যা থাকবে আরও কয়েকদিন।