দেশের স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকাদান শুরু হয়েছে।
রাজধানীর মিরপুরের জামিয়া সিদ্দীকিয়া নূরানী মহিলা মাদ্রাসায় রোববার সকাল ৯টার দিকে টিকাদান শুরু হয় ছাত্রীদের।
ওই মাদ্রাসার শিক্ষক রফিকুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শুধু মেয়ে শিক্ষার্থীদের এই টিকা দেয়া হবে আজ। ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী ৫০০ জন এবং ১৮ বছর বয়সী ১০০ শিক্ষার্থীকে এই টিকা দেয়া হবে।’
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনায় ২০১৫ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কওমি মাদ্রাসার পরিসংখ্যান জমা দিয়েছে ব্যানবেইস। তাতে দেখা যায়, সারা দেশে ১৩ হাজার ৯০২টি কওমি মাদ্রাসা রয়েছে, যেগুলোতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১৪ লাখ।
মিরপুরের একটি কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের টিকা দিচ্ছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মীরা। ছবি: নিউজবাংলা
কওমি শিক্ষার্থীদের টিকাদান কর্মসূচি পরিদর্শন শেষে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিকাদান কমিটির সদস্য সচিব শামসুল হক বলেন, ‘স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের শিক্ষার আওতায় আনতে আজ মাদ্রাসায় টিকা কার্যক্রম শুরু হলো। এটা শুধু ঢাকা নয়, সারা দেশের সব কওমি মাদ্রাসায় টিকা দেয়া হবে। আস্তে আস্তে এটার প্রসার বাড়ানো হবে।
‘এ জন্য সারা দেশের কওমি মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে আমাদের মিটিং হয়েছে। তারা আমাদের এ কাজে সহযোগিতা করবেন।’
কারও মধ্যে টিকা নিয়ে কোনো অনীহা নেই বলে জানিয়েছেন মাদ্রাসাটির সহসভাপতি মাওলানা বাহাউদ্দিন জাকারিয়া। তিনি বলেন, ‘সবাই আন্তরিকতার সঙ্গে সুশৃঙ্খলভাবে টিকা গ্রহণ করছে, কারও মধ্যে টিকা নিয়ে কোনো অনীহা নাই। শেষ ধাপে সারা দেশে বাদ পড়া সবাইকে খুঁজে বের করে টিকাদান কার্যক্রম চলছে।’
স্কুলের শিক্ষার্থীদের করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেয়া শুরু হয়েছে শনিবার। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনার পর সশরীরে ক্লাসের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।