বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘সাহসী ভাষ্যকার ছিলেন সাংবাদিক পীর হাবিব’

  •    
  • ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ২৩:৩২

সোমবার দুপুরে সুনামগঞ্জ পৌর শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হবে পীর হাবিবের মরদেহ। এ দিন বাদ জোহর সুনামগঞ্জ কেন্দ্রীয় মসজিদ এবং নিজ গ্রাম মাইজবাড়িতে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হবে।

বাংলাদেশ প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক সুনামগঞ্জের সন্তান পীর হাবিবুর রহমানের মৃত্যুতে শোকে স্তব্ধ হয়ে পড়েছেন স্থানীয় সাংবাদিক ও বিশিষ্টজনরা।

শনিবার রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

পীর হাবিবুরের মৃত্যুর খবরে জানাজানি হওয়ার পর জন্মস্থান সুনামগঞ্জে নেমে আসে শোকের ছায়া। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখছেন প্রিয়জনরা।

সুনামগঞ্জের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক শামস শামীম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সাংবাদিক পীর হাবিব ছিলেন বাংলাদেশের সময়ের একজন সাহসী ভাষ্যকার। তার কলম দিয়ে তিনি দেশ ও রাজনীতি অঙ্গনের অনেক বড় বড় রিপোর্ট করেছেন।

‘তিনি হাওরকে খুব পছন্দ করতেন। সুযোগ পেলেই সুনামগঞ্জ ছুটে আসতেন। কষ্ট লাগে অল্প সময়ের মধ্যে তিনি আমাদের মাঝ থেকে হারিয়ে গেলেন।’

কবি আশরাফ শাহীন তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘সুনামগঞ্জ শহরে বৃষ্টি হচ্ছে, জোৎস্নায় ভেসে যাবে শহর প্রান্তর, হাওর-বাঁওড় অথচ আপনি আর কোনো দিন আসবেন না আপনার প্রিয় শহরে। জন্মস্থানের প্রতি প্রচণ্ড অন্তঃপ্রাণ একটা মানুষ, সবার বিপদ আপদে আমাদের ভরসাস্থল।

‘বৈরিতার বিরুদ্ধে সব সময় যুদ্ধ করেছেন। সুনামগঞ্জের মানুষের কপালই খারাপ। সাহসী সংগ্রামী মানুষেরা চলে যান অকালে।’

লন্ডনপ্রবাসী সাংবাদিক আবু সালেহ মোহাম্মদ লিখেছেন, ‘পীর ভাই আমার ওপর ভরসা করতেন, আমার সাংবাদিকতার ওপর উনার অগাধ আস্থা ছিল। আমার সাংবাদিকতার গুরু এবং হাতেখড়ি, সেই সঙ্গে গড়ে তোলার কারিগর প্রথিতযশা সাংবাদিক উজ্জ্বল মেহেদী আর সাংবাদিক হিসেবে পুনর্জন্ম দিয়েছেন পীর হাবিব ভাই।’

যুক্তরাজ্যস্থ সুনামগঞ্জপ্রবাসী সমিতির সভাপতি ও সাংবাদিক পীর হাবিবের বাল্যকালের বন্ধু সাংবাদিক মহি জামান লিখেছেন, ‘তোর ফুরিয়ে যাওয়া ভালোবাসা আজ খুঁজি রোজ। আমি জানি রে তুই আছিস সুখে আর নিবি না খোঁজ।

১৯৬৩ সালের ১২ নভেম্বর সুনামগঞ্জ শহরের হাসননগরে এক মধ্যবিত্ত সভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম নেন পীর হাবিবুর রহমান।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সন্ধ্যায় স্ট্রোক করেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও কলামিস্ট পীর হাবিবুর রহমান। পরে তাকে ল্যাবএইড হাসপাতালের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে শনিবার মৃত্যু হয় তার।

রোববার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত শ্রদ্ধা জানানোর জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হবে পীর হাবিবের মরদেহ। বাদ জোহর জাতীয় প্রেস ক্লাবে হবে দ্বিতীয় জানাজা। এরপর নেয়া হবে সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে। সেখানে শ্রদ্ধা জানানো শেষে বেলা ৩টায় তার কর্মস্থল বাংলাদেশ প্রতিদিন কার্যালয়ে নেয়া হবে।

সোমবার দুপুর ১২টায় সুনামগঞ্জ পৌর শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হবে পীর হাবিবের মরদেহ। এ দিন বাদ জোহর সুনামগঞ্জ কেন্দ্রীয় মসজিদ এবং নিজ গ্রাম মাইজবাড়িতে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হবে।

এ বিভাগের আরো খবর