হাসপাতালের মেঝেতে শুয়ে আছেন রোগীরা। বিছানায় যতজন রোগী তার চেয়ে অধিক পড়ে আছেন মেঝেতে। তীব্র শীতে কাতরাচ্ছেন তারা।শনিবার দুপুরে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনে এসে এমন দৃশ্য দেখেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি হাসপাতালটিতে নতুন একটি ওয়ার্ড চালুর নির্দেশ দেন।হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে স্বাস্থ্যের ডিজি এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় চিকিৎসাসেবা প্রদানের জায়গা। এখানে সেবা ভালোভাবে দেয়া হয় বলেই রোগীর এত চাপ। বিশেষ করে নারী সার্জারি ওয়ার্ডে রোগী ঠাসা।
‘এই প্রচণ্ড শীতে রোগীদের মেঝেতে রাখতে হচ্ছে বাধ্য হয়ে। তাই নতুন পরিচালক সাহেবকে বলেছি হাসপাতালের ওষুধের স্টোর থেকে ওষুধ সরিয়ে সেখানে যেন আরেকটি ফিমেল সার্জারি ওয়ার্ড করা হয়। দুটি ওয়ার্ড হলে রোগীদের অমানবিকভাবে রাখতে হবে না। আরও বেশিসংখ্যক রোগীকে সেবাও দেয়া যাবে।’ওসমানী হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ৯০০ শয্যার এই হাসপাতালে প্রতিদিন ভর্তি থাকে প্রায় দেড় হাজার রোগী। এ ছাড়া বহির্বিভাগে প্রতিদিন সেবা নেন আরও প্রায় দুই হাজার। শয্যার তুলনায় রোগী প্রায় দ্বিগুণ ভর্তি হওয়ায় অনেককে মেঝেতে রেখেই চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়।শনিবার দুপুরে হাসপাতালে গিয়ে নতুন বহির্বিভাগসহ বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। এ সময় হাসপাতালের কর্মকর্তা, চিকিৎসক ও রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।পরিদর্শন শেষে করোনার বিধিনিষেধ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অধ্যাপক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, ‘করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরামর্শে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। সংক্রমণ কমে গেলে সেই বিধিনিষেধ তুলে নিতে আমরা অনুরোধ জানাব।‘নতুন নির্দেশনা আসার আগ পর্যন্ত মাস্ক ছাড়া রাস্তায় বের হলে জরিমানার বিধানসহ ১১ দফা বিধিনিষেধ অপরিবর্তিত থাকবে।’পরিদর্শনকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেটের পরিচালক হিমাংশু লাল রায়, ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়াসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।