নানা ঘটনার পর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হওয়াকে ‘সত্যের জয়’ বলে মন্তব্য করেছেন অভিনেত্রী নিপুণ আক্তার।
শনিবার সন্ধ্যায় সমিতির নির্বাচনের আপিল বিভাগের প্রধান সোহানুর রহমান সোহান নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনায় জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে নিপুণকে তার পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী ঘোষণা করেন।
এরপর নিউজবাংলাকে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দেন নিপুণ। তিনি বলেন, ‘তাদের (জায়েদ খান) জালিয়াতির প্রমাণ ছিল আমার কাছে। সত্যের জয় হয়েছে।’
এ সময় সোহানুর রহমান জানান, রোববারই শপথ হবে নতুন কমিটির। তিনি বলেন, ‘নিপুণের করা অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে নিপুণকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হলো।
‘কার্যনির্বাহী সদস্য পদে জয়ী চুন্নুরও প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। তার জায়গায় বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে নাদির খানকে।’
এর আগে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে এ বিষয় নিয়ে বৈঠকে বসেন আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান। এতে অভিযোগকারী নিপুণ উপস্থিত থাকলেও আসেননি জায়েদ খান।
বোর্ড মিটিংয়ের আগে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত জায়েদ খান ও কার্যকরী পরিষদ সদস্য পদে নির্বাচিত চুন্নুর প্রার্থিতা বাতিলের আবেদন করা হয়।
আবেদনটি করেন তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদে পরাজিত প্রার্থী নিপুণ আক্তার। প্রার্থিতা বাতিলের অভিযোগের দিকনির্দেশনা চেয়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠান সোহানুর রহমান সোহান।
আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যানকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বলে মন্ত্রণালয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এফডিসিতে আসেন নিপুণ, আপিল বোর্ডের সদস্য সোহানুর রহমান সোহানসহ অনেকে।
গত ২৮ জানুয়ারি এফডিসিতে অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। এর পরদিন ভোরে ফল ঘোষণা করা হয়।
২০২২-২৪ কার্যকরী পরিষদের এ নির্বাচনে সভাপতি নির্বাচিত হন ইলিয়াস কাঞ্চন। তিনি তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মিশা সওদাগরকে হারান ৪৩ ভোটে। সভাপতি পদে ইলিয়াস কাঞ্চন পান ১৯১ ভোট। আর মিশা সওদাগর পান ১৪৮ ভোট।
সাধারণ সম্পাদক পদে দুটি প্যানেল থেকে লড়াই করেন জায়েদ খান ও নিপুণ। জায়েদ খান ১৭৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন।। আর নিপুণের পক্ষে ভোট পড়ে ১৬৩টি।
ভোটে সভাপতি পদ নিয়ে বিতর্ক না থাকলেও জায়েদ খানের সাধারণ সম্পাদকের পদ নিয়ে বিতর্ক দেখা দেয়। ভোটের সময় নিপুণ তার বিরুদ্ধে টাকা দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগ আনেন। পরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চনকে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে একই অভিযোগ করেন তিনি।
ওই সংবাদ সম্মেলনে ভোট বাতিল দাবি করে নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা শহিদুল হারুনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনেন তিনি। তার কাছে পীরজাদা হারুন ভোটের দিন চুমু চেয়েছিলেন বলে দাবি করেন নিপুণ। অবশ্য হারুন এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন।