বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অধ্যক্ষের ভর্তি বাণিজ্যের সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি

  •    
  • ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৯:২৩

বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুস ছালাম বলেন, ‘তদন্ত শেষ হয়েছে। অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণ হয়েছে, তিনি নিয়মবহির্ভূতভাবে শিক্ষার্থী ভর্তি করিয়েছেন। কমিটি যেহেতু এখনও রিপোর্ট যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেয়নি, তাই বিস্তারিত বলতে চাচ্ছি না।

কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড সরকারি মডেল কলেজের অধ্যক্ষ একেএম এমদাদুল হকের বিরুদ্ধে ভর্তি বাণিজ্যের অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি।

তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ভুল তথ্য দিয়ে ২০ শিক্ষকের বেতন ১৯ মাস ধরে আটকে রাখেন এ অধ্যক্ষ।

শিক্ষকরা ১৯ জানুয়ারি ওই অধ্যক্ষের নামে মাউশিতে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগে বলা হয়, এমদাদুল হক ওই কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগ দেন ২০১৬ সালের ৩১ অক্টোবর। ২০১৭ সাল থেকে প্রায় প্রতি বছরই তিনি ষষ্ঠ শ্রেণিতে ৮৫ আসনের বিপরীতে বিধি বহির্ভূতভাবে অনেক বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করেছেন।

২০২১ সালের ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে ৮৫ আসনের বিপরীতে ভর্তি করিয়েছেন ৯৫ জন। একইভাবে ২০১৮ সালে ষষ্ঠ শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয় ৯৫ জনকে। এ ছাড়া প্রতি বছরই সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণিতে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই অধ্যক্ষের একক সিদ্ধান্তে অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়েছে।

তবে এ বিষয়ে অধ্যক্ষ এমদাদুল হক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি কোনো শিক্ষকের বেতন বাতিল করার ক্ষমতা রাখি না। এ ছাড়া নিয়মের বাইরে কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়নি। জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় অত্যন্ত সুন্দরভাবে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।’

কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নাজমা আশরাফী বলেন, ‘অতিরিক্ত ভর্তি নিয়ে একটি অভিযোগ এসেছে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। তার তদন্ত চলছে।’

কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড থেকে এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুস ছালাম বলেন, ‘তদন্ত শেষ হয়েছে। অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণ হয়েছে, তিনি নিয়মবহির্ভূতভাবে শিক্ষার্থী ভর্তি করিয়েছেন। কমিটি যেহেতু এখনও রিপোর্ট যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেয়নি, তাই বিস্তারিত বলতে চাচ্ছি না।’

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর কুমিল্লা অঞ্চলের পরিচালক অধ্যাপক সোমেশ কর চৌধুরী বলেন, ‘শিক্ষকদের বেতন বন্ধ হয়ে যাওয়ার বিষয়ে অবগত আছি। এটা একটা জটিল প্রক্রিয়ার মধ্যে পড়ে গেছে।’

এ বিভাগের আরো খবর