বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শিক্ষার্থীর অনুপাতে শিক্ষকের সংখ্যায় পিছিয়ে রাবি

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৬:৪৯

দেশের চারটি স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ঢাবিতে ৩৯ হাজার ৩৮৩ শিক্ষার্থীর বিপরীতে শিক্ষক ২ হাজার ৪২১ জন। শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত ১:১৬। অন্যদিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৮ হাজার ২৯১ শিক্ষার্থীর বিপরীতে শিক্ষক ১ হাজার ৯৭ জন। শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত ১:৩৫। অর্থাৎ প্রতি ৩৫ জন শিক্ষার্থীর জন্য একজন শিক্ষক। শিক্ষার্থীর সংখ্যায় প্রায় সমান হলেও শিক্ষকের তুলনায় ঢাবির অর্ধেকেরও কম।

শিক্ষার্থীর সংখ্যায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) বর্তমানে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিদ্যাপীঠ। তবে শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় পিছিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি।

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) প্রকাশিত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি ইউজিসি তাদের ৪৭তম বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

দেশের চারটি স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ঢাবিতে ৩৯ হাজার ৩৮৩ শিক্ষার্থীর বিপরীতে শিক্ষক ২ হাজার ৪২১ জন। শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত ১:১৬।

অন্যদিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৮ হাজার ২৯১ শিক্ষার্থীর বিপরীতে শিক্ষক ১ হাজার ৯৭ জন। শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত ১:৩৫। অর্থাৎ প্রতি ৩৫ জন শিক্ষার্থীর জন্য একজন শিক্ষক। শিক্ষার্থীর সংখ্যায় প্রায় সমান হলেও শিক্ষকের তুলনায় ঢাবির অর্ধেকেরও কম।

চবি ও জাবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত ১:২২।

বৈশ্বিক উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীর ন্যূনতম অনুপাত ধরা হয় ১:১৬। অর্থাৎ প্রতি ১৬ জন শিক্ষার্থীর জন্য একজন শিক্ষক। কিন্তু রাবিতে প্রতি ৩৫ জন শিক্ষার্থীর জন্য একজন শিক্ষক। অর্থাৎ যেখানে দুজন শিক্ষকের প্রয়োজন, সেখানে একজন শিক্ষক দিয়েই চলছে।

বিশ্ববিদ্যালয়টির ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক মলয় ভৌমিক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই বছর ধরে শিক্ষক নিয়োগ নেই বলা যায়। বিভিন্ন মামলা-মোকাদ্দমা ও মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞার কারণে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হচ্ছে না।

‘আবার যে শিক্ষকরা রয়েছেন, অনেকে অবসরে যাচ্ছেন। অনেকে দেশের বাইরে চলে যাচ্ছেন। তাই জরুরি ভিত্তিতে কর্তৃপক্ষের উচিত শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাতকে যৌক্তিক পর্যায়ে নিয়ে আসা।’

এই অধ্যাপক আরও বলেন, ‘অনেক বিভাগ আছে যেখানে প্রফেশনাল ডিগ্রি দেয়া হয়। এ ধরনের বিভাগে শিক্ষকের সঙ্গে শিক্ষার্থীর নিবিড় সম্পর্ক না হলে প্রফেশনাল গুণ তৈরি হয় না। একজন শিক্ষক যখন ১০০ জন শিক্ষার্থীকে একসঙ্গে পড়াচ্ছেন, তখন তাদের মধ্যে এই গুণের ঘাটতি থেকে যাচ্ছে।

‘তাই শুধু শিক্ষক নিয়োগই সমাধান নয়। এমনভাবে শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে, যাতে সেকশন অনুযায়ী ভাগ করা যায় এবং একজন শিক্ষককে যেন ৫০ জন শিক্ষার্থীর ওপরে পড়াতে না হয়।’

এদিকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত মোট শিক্ষার্থীর অনুপাতে হওয়া উচিত না বলে মনে করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগে শিক্ষক অধ্যাপক আতাউর রহমান রাজু।

বলেন, ‘শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত হওয়া উচিত বিভাগ অনুযায়ী। কারণ কোনো কোনো বিভাগে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর আদর্শ অনুপাতের থেকে অনেক বেশি শিক্ষক রয়েছেন। আবার অনেক বিভাগ আছে যেখানে এই অনুপাতের থেকে অনেক কম শিক্ষক রয়েছেন। ফলে যেখানে শিক্ষক প্রয়োজন, সেখানে ঘাটতি থেকে গেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষক-শিক্ষার্থীর এই অনুপাতটা অবশ্যই ১:১৬ হওয়া উচিত। তবে অবশ্যই সেটি বিভাগ ভেবে হতে হবে। তা না হলে সামগ্রিকভাবে এই অসমতা থেকেই যাবে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অবনমিত নিয়োগ নীতি ছিল। যার মাধ্যমে অধিকতর কম যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের নিয়োগ দেয়া হচ্ছিল। তাই সরকার নিয়োগে স্থগিতাদেশ দিয়ে রেখেছে।

‘বিশ্ববিদ্যালয়ের যখন নতুন নীতিমালা হবে এবং সরকার নিয়োগের অনুমতি দেবে, তখন নিয়োগ দেয়া হবে। তাহলে শিক্ষকের সংখ্যাটা বেড়ে যাবে।’

নীতিমালার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সরকারের স্থগিতাদেশের বিষয়ে বলতে পারব না। তবে নীতিমালা প্রণয়ন খুব দ্রুতই শেষ হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর