মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, গাজীপুরের শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে প্রাণীর মৃত্যুর পেছনে সংশ্লিষ্ট কারও ত্রুটি বা অবহেলা রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।সিলেট জেলা দুগ্ধ খামার পরিদর্শন শেষে শনিবার দুপুরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, ‘এই সময়ে মানুষের মতো প্রাণীরাও নতুন নতুন রোগ সংক্রমিত হচ্ছে, প্রাণী মারা যাচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে রোগ সংক্রমণের বিষয়টি উঠে এসেছে। একাধিক ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে-সংক্রমণে এসব প্রাণী মারা গেছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে যেসব রোগে প্রাণীগুলোর মৃত্যু হয়েছে, সেগুলো নিয়ন্ত্রণের বাইরে কি না।’
বেঁচে থাকা প্রাণীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী।
জানুয়ারি থেকে চলতি মাসের ৩ তারিখ পর্যন্ত সাফারি পার্কে ১৩টি প্রাণীর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ১১টি জেব্রা, একটি বাঘ ও একটি সিংহী রয়েছে।
একের পর এক প্রাণী মৃত্যুর ঘটনায় পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও ভেটেরিনারি কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
জেব্রার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটনের জন্য নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘যেসব বিদেশি প্রাণী আনা হয়, সে দেশের জলবায়ু কিংবা থাকার জায়গা আমাদের দেশের মতো না। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের রোগ ও জীবাণু সংক্রমণও হয়।’নগরের টিলাগড়ে অবস্থিত জেলা দুগ্ধ খামার পরিদর্শন শেষে ওই এলাকায় ইনস্টিটিউট অফ লাইভস্টক সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন মন্ত্রী। এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মনজুর মোহাম্মাদ শাহজাদা, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এস এম ফেরদৌস আলম, প্রাণিসম্পদ দপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক অমলেন্দু ঘোষ, সিলেট আইএলএসটি স্থাপন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম ও জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রুস্তম আলীসহ আরও অনেকে।