বাংলা পঞ্জিকার পৌষ ও মাঘ মাস নিয়ে হয় শীতকাল। দেশে শীতের তীব্রতা সবচেয়ে বেশি থাকে মাঘ মাসে। এই সময়ে শীতের তীব্রতা বোঝাতে বলা হয়ে থাকে, ‘মাঘের শীতে বাঘও কাঁপে।’
কিন্তু মাঘ মাসের তৃতীয় সপ্তাহ শেষ হলেও শীতের প্রকোপ খুব একটা বাড়েনি চট্টগ্রামে।
এদিকে, দেশের বিভিন্ন এলাকার মতো চট্টগ্রামেও বৃষ্টি হয়েছে শুক্রবার রাতে।
গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে মোট বৃষ্টিপাত ৭ দশমিক ২ মিলিমিটার। বৃষ্টির পর শনিবার চট্টগ্রামের তাপমাত্রা হয় ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বৃষ্টি হলে সাধারণত শীতের প্রকোপ কমে। আর বাংলাদেশের আবহাওয়া অনুযায়ী ফেব্রুয়ারিতে স্বাভাবিকভাবেই পাঁচ থেকে ছয়দিন বৃষ্টি হওয়ার কথা। শীতকাল শেষের দিকে হওয়ায় বৃষ্টির পরও শীত বাড়ার খুব একটা সম্ভাবনা নেই।
অবশ্য শীতের শুরু কিংবা মাঝামাঝি সময়েও যে চট্টগ্রামে খুব একটা শীতের তীব্রতা ছিল তা নয়। ডিসেম্বরে চট্টগ্রামে তাপমাত্রা ছিল ১৭ থেকে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর পরের মাস চলতি বছরের জানুয়ারিতে চট্টগ্রামের তাপমাত্রা ছিলো ১৫ থেকে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। তবে ফেব্রুয়ারির প্রথম দিনে চট্টগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
চট্টগ্রামে শীতের তীব্রতা না থাকায় হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডেও চাপ কম। সাধারণত চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের বহির্বিভাগে ১৬০ থেকে ১৭০ জন শিশু রোগী থাকলেও শনিবার দুপুরে সেখানে ছিল মোট ৭০ জনের মতো।
শিশু ওয়ার্ডের বহির্বিভাগের ডা. সাইফুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘রোগী কম হওয়ার একটি কারণ হতে পারে শীতের প্রকোপ কম। সাধারণত এই সময়ে ঠান্ডাজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হয় শিশুরা। রোগী কম থাকাটা অবশ্যই পজিটিভ দিক। আবার এমনও হতে পারে এই আবহাওয়ায় শিশুদের অভিবাবকরা মুভ করছেন না, তাই রোগী কম।’
তবে আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ঠান্ডাজনিত সমস্যায় শিশু রোগীর চাপ স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক নুরুল হক।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঠিক কতজন শিশু এই মুহূর্তে ভর্তি আছে তা বলা মুশকিল। তবে স্বাভাবিকের চেয়ে চাপ একটু বেশি।’
আগামী ২৪ ঘন্টায়ও চট্টগ্রামের কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছেন পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শেখ হারুনর রশীদ।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দেশের আবহাওয়া অনুযায়ী স্বাভাবিকভাবে ফেব্রুয়ারিতে ৬ থেকে ৭ দিন বৃষ্টি থাকে। সেদিক থেকে এই বৃষ্টিকে তো অসময়ের বৃষ্টি বলা যাবে না। আগামী ২৪ ঘন্টায়ও চট্টগ্রামের কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টি কমলে শীত বাড়ার কথা। কিন্তু শীতকাল তো শেষের দিকে।’