আগামী সংসদ নির্বাচনে ভোট চুরির পথ সুগম করতেই নির্বাচন কমিশন গঠনে অনুসন্ধান কমিটি করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
সার্চ কমিটি গঠনের বিষয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
আমীর খসরু নিউজবাংলাকে বলেন, ‘একটা দল জোর করে অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতায় আছে। একটা অনির্বাচিত সরকার আগামী নির্বাচনে তাদের ভোট চুরির প্রক্রিয়া হিসেবে এটা করেছে।
‘বাংলাদেশের রাজনীতি এবং জনগণের সাথে এর সম্পর্ক আছে বলে আমি মনে করি না।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন অবশ্য কোনো প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে রাজি হননি।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এটা যে কেউ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলে হবে না। দলের পক্ষ থেকে আমাদের মহাসচিব অবশ্যই প্রতিক্রিয়া জানাবেন।’
নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে শনিবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে প্রধান করে অনুসন্ধান বা সার্চ কমিটি গঠন করেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ।
এ কমিটি ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন-২০২২’-এর ধারা অনুযায়ী সিইসি ও অন্য কমিশনারদের নিয়োগে আইনে বর্ণিত যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের নাম সুপারিশ করবে।
শুরু থেকেই এ প্রক্রিয়ায় নির্বাচন কমিশন গঠনের বিরোধিতা করে আসছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো।
রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ সই করার পর গত ৩০ জানুয়ারি সিইসি ও অন্য কমিশনার নিয়োগ বিলের গেজেট প্রকাশ করে সরকার। এ গেজেট উন্মুক্ত করার মধ্য দিয়ে বিলটি আনুষ্ঠানিকভাবে আইনে পরিণত হয়।
এর আগে ইসি নিয়োগ বিল সংসদে তোলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বিলটি আনা হয়।
সংসদ সদস্যদের ভোটে বিলটি পাস হলে তা যায় রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য। ২৯ জানুয়ারি তাতে সই করেন রাষ্ট্রপতি।
এর আগে ১৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে সিইসিসহ কমিশনারদের নিয়োগ আইনের খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়।
কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে সরগরম হয় দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন।