বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলুক সরস্বতীর কাছে ভক্তের চাওয়া

  •    
  • ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৩:২২

সীমিত আয়োজনে এবার অন্যতম উৎসব বিদ্যাদেবী সরস্বতীর আরাধনা হয়েছে। সে আরাধনায় ভক্তদের চাওয়া ছিল, করোনাভাইরাস মহামারি থেকে মুক্ত হোক বিশ্ব, আর খুলে যাক শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। 

অন্যবার আড়ম্বরপূর্ণ সরস্বতী পূজা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের মাঠে। সেখানে অসংখ্য সরস্বতী দেবী ভিন্ন ভিন্ন ভাবে আবিভূত হতো নানা রূপে। এবার ছিল না সেই আয়োজন।

সীমিত আয়োজনে এবার অন্যতম উৎসব বিদ্যাদেবী সরস্বতীর আরাধনা হয়েছে। সে আরাধনায় ভক্তদের চাওয়া ছিল, করোনাভাইরাস মহামারি থেকে মুক্ত হোক বিশ্ব, আর খুলে যাক শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

দেবীর কাছে ভক্তদের প্রার্থনা, যে ভাইরাসের কারণে তারা বিশাল আয়োজনে পূজা করতে পারছে না, তা থেকে যেন দেশ মুক্তি পায়। তারা যেন ফের দেবীর পূজা করতে পারেন মহাকলেবরে।

সীমিত আয়োজনে শনিবার সকাল ৯টা থেকে জগন্নাথ হলের মন্দিরে শুরু হয় পূজা। মন্দিরের প্রধান পুরোহিত সাধন চক্রবর্তী পূজা পরিচালনা করেন। এক ঘণ্টা পূজা শেষে ১০টায় শুরু হয় অঞ্জলি দেয়া। অঞ্জলি শেষে বিতরণ করা হয় প্রসাদ।

করোনাভাইরাস মহামারির কারণে গত বছরের মতো এ বছরও আড়ম্বরহীনভাবে বিদ্যাদেবী সরস্বতীর আরাধনা করেছেন শিক্ষার্থীরা। ছিল না কোনো সাংস্কৃতিক আয়োজন বা সভা, বসেনি কোনো মেলা।

প্রতিবছর জগন্নাথ হল মাঠে ৮০টির মতো মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হলেও গত বছরের মতো এ বছরও মাত্র একটি মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হচ্ছে পূজা।

বিদ্যার দেবী সরস্বতী পূজায় হাতেখড়ি দেয়া হচ্ছে শিশুদের। ছবি: পিয়াস বিশ্বাস/নিউজবাংলা

এ ছাড়া প্রতিবছর চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীরা জগন্নাথ হলের পুকুরের মাঝখানে সাদা হাসের উপর দেবী সরস্বতীকে বসিয়ে আরাধনা করলেও এবার করা হয়নি সেটিও।

মণ্ডপ ঘুরে দেখা যায়, পলাশ, বেলপাতা, হরতকি, যজ্ঞের জন্য পাটকাঠি, মধু, ঘি, সাদা ফুল, টগর, গাঁদাসহ নানা জাতের ফুলে সেজেছে কেন্দ্রীয় মণ্ডপ। ফুলের পাশাপাশি দেবীর পায়ে অর্পণ করা হয়েছে বই-খাতা, চক, স্লেট।

ভক্তদের বিশ্বাস, এর মাধ্যমে তারা জ্ঞানী ও প্রজ্ঞাবান হয়ে উঠবেন।

পূজা শেষে চন্দ্রমিত্ত, যজ্ঞের ফোঁটা ও প্রসাদ হিসেবে ফলমূল ও খিচুড়ি বিতরণ করছেন মন্দিরের স্বেচ্ছাসেবকরা।

প্রসাদ বিতরণ শেষে পুরোহিত সাধন চক্রবর্তী বলেন, ‘যারা সঙ্গীতের চর্চা করেন তারা সঙ্গীতের সুরের জন্য মায়ের কাছে প্রার্থনা করেছেন। করোনা মহামারির জন্য পুরো বিশ্বের মানুষ অসহায় অবস্থার মধ্যে আছে, আজকের এই দিনে মায়ের কাছে প্রার্থনা করেছি, সকলে যেন এই অবস্থা থেকে মুক্তি পায়। সকলেই সুখী হোক, সকলেই নিরাপদ থাকুক, মায়ের কাছে এ প্রার্থনা জানিয়েছি।’

পূজায় অংশ নিতে আসা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সঞ্জয় কুমার বলেন, ‘দেবীর কাছে আমাদের প্রার্থনা জগতের সকলে সুখী হোক। আমরা যেন আবার প্রাণ খুলে উৎসবমুখর পরিবেশের দেবীর প্রার্থনা করতে পারি।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে সরস্বতী পূজা শেষে প্রসাদ নিতে ভক্তদের ভিড়। ছবি: পিয়াস বিশ্বাস/নিউজবাংলা

অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী রাজ কুমার বলেন, ‘প্রতিবছর আমরা এই দিনের প্রার্থনায় থাকি। সামনে আমাদের অনেকের চূড়ান্ত পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় যেন সবার ভালো হয় সেই প্রার্থনা করেছি। সর্বোপরি করোনা মহামারি থেকে মুক্তির প্রার্থনা তো ছিলই।’

পরিবার নিয়ে পূজায় এসেছেন কল্পনা তিথি। তিনি বলেন, ‘আমার বাচ্চা বড় হচ্ছে। পূজায় এসে তার হাতেখড়ি করিয়েছি। মায়ের কাছে প্রার্থনা, করোনা দূর হয়ে আবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে যাক। সবাই স্কুলে যাক।’

বাবার সঙ্গে মণ্ডপে এসেছে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী অমল দে, সে বলে, ‘অনেক দিন পর আমার ক্লাস খুলেছে। এখন আবার বন্ধ হয়ে গেছে। আমি প্রার্থনা করেছি যেন স্কুল খুলে দেয়, আর আমার বন্ধুদের সাথে যেন আবারও খেলতে পারি।’

জগন্নাথ হল ছাড়াও এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হল, ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হল, কুয়েত মৈত্রী হল, শামসুন্নাহার হল ও কবি সুফিয়া কামাল হলে পূজার আয়োজন করা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর