হতাশাগ্রস্ত হয়েই গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা সহপাঠী ও স্বজনদের।
তারা বলছেন, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে ঠিক সময়ে পড়াশোনা শেষ করতে না পারায় ও প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ায় পল্লবী মণ্ডল হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন।
খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার শুকুরমারি গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে শুক্রবার সকালে অর্থনীতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের এই ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবায়দুর রহমান জানান, পল্লবী রাতে তার নানির সঙ্গে ঘুমাতে যান। সকালে স্বজনরা রান্নাঘরে তার মরদেহ ঝুলতে দেখেন। খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে শুক্রবারই তার শেষকৃত্য হয়। এ ঘটনায় কারো কোনো অভিযোগ না থাকায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সহপাঠী জানান, করোনা মহামারির মাঝে পল্লবীর দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে যায়। বিষয়টি নিয়ে তিনি হতাশায় ভুগছিলেন। সেই সঙ্গে পড়াশোনা শেষ না হওয়াতেও মানসিক চাপে ছিলেন।
মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকায় পল্লবী চতুর্থ বর্ষের প্রথম সেমিস্টারে এক বিষয়ে পরীক্ষা দিতে পারেননি। দ্বিতীয় সেমিস্টারের কোনো পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি।
সেশন-জট নিয়েও পল্লবীর হতাশার কথা জানান অর্থনীতি বিভাগের সভাপতি জুবাইদুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘পল্লবীর মা এসেছিলেন আমার সঙ্গে কথা বলতে। আমি হতাশা কাটাতে তাকে মেয়ের সঙ্গে এসে থাকার পরামর্শ দিয়েছিলাম। পল্লবী গোপালগঞ্জ শহরের পাচুড়িয়ায় একটি মেসে থাকত।
‘তার মা আমার কাছে পরীক্ষার বিষয়ে পরামর্শ চান। আমি পরে বিশেষ ব্যবস্থায় পল্লবীর পরীক্ষা নেয়ার জন্য উনাকে আশ্বস্ত করেছিলাম। তবে আগে মেয়ের মানসিক অবস্থার চিকিৎসা করাতে বলেছিলাম।’