বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ো হাওয়ায় কনকনে শীতে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছে পঞ্চগড়ের মানুষ। এর মধ্যে বাতাসে গাছ উপড়ে পুরো জেলায় বিদ্যুৎব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
হিমালয় থেকে আসা হিমপ্রবাহ দুর্ভোগ আরও বাড়াবে বলে জানিয়েছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র।
শুক্রবার সকাল থেকে সারা দিন বিদ্যুৎ না থাকায় বন্ধ হয়ে গেছে কলকারখানা, ব্যাবসাপ্রতিষ্ঠানসহ ইন্টারনেট। বিদ্যুতের অভাবে বন্ধ রয়েছে পানিসহ জরুরি সেবা কার্যক্রম।
জেলার বিভিন্ন এলাকায় ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কাঁচা ঘরবাড়ি। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছে না। কাজের অভাবে বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের লোকজন। গ্রাম-শহরের রাস্তাঘাট জনশূন্য হয়ে পড়েছে। হাটবাজারও অনেকটাই ফাঁকা।
জেলায় বৃষ্টির সঙ্গে ঝড় হাওয়ার কারণে টমেটো, ভুট্টা, গমসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম জানান, ঝড়-বৃষ্টিতে কিছু কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলার পাঁচ উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে তাদের আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে।
পঞ্চগড় নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলী আতিফুর রহমান জানান, ঝড়ে অসংখ্য গাছ বিদ্যুৎলাইনের ওপর ভেঙে পড়ায় জেলার বিদ্যুৎব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়েছে। জরুরিভাবে মেরামতের কাজ চলছে।
সন্ধ্যা ৬টার দিকে কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হয়েছে বলে জানিয়েছে নেসকো।
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের ডা. মনোয়ারুল ইসলাম জানান, বৈরী আবহাওয়ায় শিশুদের ঘর থেকে বের না করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে অভিভাবকদের।তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা রাসেল শাহ জানান, আকাশে মেঘের যে অবস্থান তাতে শনিবার পর্যস্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও হিমালয় থেকে আসা হিমপ্রবাহে মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়াবে।
তিনি জানান, শুক্রবার তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রের্কড করা হয়েছে; যা সারা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। বৃষ্টির পর তাপমাত্রা আরেক দফা কমার পূর্বাভাস রয়েছে।