করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউয়ে রেকর্ড করার পর থেকে ধারাবাহিকভাবে কমছে শনাক্তের হার। সেই সঙ্গে কমছে রোগীর সংখ্যাও।
গত ২৪ ঘণ্টায় রোগী পাওয়া গেছে ১০ হাজারের কম। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ভাইরাসে সংক্রমিত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৫২ জন। রোগীর এই সংখ্যা গত ১২ দিনের মধ্যে সবচেয়ে কম।
রোগীর পাশাপাশি কমেছে শনাক্তের হারও। গত ২৪ ঘণ্টায় যত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, তাদের মধ্যে ২২ দশমিক ৯৮ টিতে ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়েছে।
শনাক্তের এই হার গত ১৭ জানুয়ারির পর সর্বনিম্ন। সেদিন শনাক্তের হার ছিল ২০ দশমিক ৮৮ শতাংশ।
এ নিয়ে টাকা ২৮ দিন করোনা শনাক্তে হার ৫ শনাক্তের ওপরে পাওয়া গেছে।
সবশেষ হিসাব অনুযায়ী দেশে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮ লাখ ৪৪ হাজার ৮২৮ জন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়েছে ১৫ লাখ ৮৭ হাজার ৩৭৪ জন। সুস্থতার হার ৮৬ দশমিক ০৪ শতাংশ।
গত ২০ জানুয়ারি করোনার তৃতীয় ঢেউ ছড়িয়ে পড়ার নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পর সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত থাকে। এক পর্যায়ে গত ২৮ জানুয়ারি পরীক্ষা করা নমুনার ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশের মধ্যে করোনার উপস্থিতি পাওয়া যায়। ২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনা সংক্রমণের পর এত বেশি হারে সংক্রমণ ধরা পড়েনি কখনও।
তবে রেকর্ড গড়ার পর দিন থেকেই সংক্রমণের হার নিম্নমুখী। বৃহস্পতিবার তা কমতে কমতে ২৫ শতাংশে নেমে আসে। পরের ২৪ ঘণ্টায় আরও কম পাওয়া গেল।
বৃহস্পতিবার ২৪ ঘণ্টায় রোগী পাওয়া গিয়েছিল ১১ হাজার ৫৯৬ জন।
রোগী ও শনাক্তের হার ক্রমেই নিম্নমুখি হলেও পরিস্থিতি যে স্বস্তিদায়ক হয়নি, সেটি বলে দিচ্ছে মৃত্যুর সংখ্যাটি।
শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনয় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৩০ জন। এ নিয়ে টানা ৬ দিন মৃত্যু হলো ৩০ বা তার চেয়ে বেশি।
এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৮ হাজার ৫২৮ জনের।
গত এক দিনে মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ১৯ জন, নারী ১১জন। এর মধ্যে বিশোর্ধ্ব দুই জন, চল্লিশোর্ধ্ব দুই জন, পঞ্চাশোর্ধ্ব চার জন ও ষাটোর্ধ্ব আট জন, সত্তরোর্ধ্ব ১০ জন এবং চার জনের বয়স ৮০ এর বেশি।
বিভাগ অনুযায়ী সর্বোচ্চ ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এর পরই রয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ, ৫ জন। এ ছাড়া খুলনা ২ জন, রাজশাহীতে ২, বরিশালে ১, সিলেটে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
করোন সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কার মধ্যে গত ১৩ জানুয়ারি নানা বিধিনিষেধ দেয়া হয়। যে কোনো জমায়েত নিষিদ্ধের পাশাপাশি পরে বন্ধ করে দেয়া হয় স্কুল কলেজ।
জমায়েতে নিষেধাজ্ঞায় পরে কিছুটা সংশোধন করা হয়। জানানো হয়, সর্বোচ্চ ১০০ জন জমায়েত হতে পারবে, তবে সবার পিসিআর মেশিনে করোনা নেগেটিভ সনদ লাগবে।