বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জবি শিক্ষার্থী আকবর হত্যা: রহস্য উদ্ঘাটন হয়নি পাঁচ মাসেও

  •    
  • ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৬:৫৯

মামলাটি চট্টগ্রামের খুলশী থানার অধীনে রয়েছে। দীর্ঘ সময়েও তদন্তে কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি উঠেছে মামলাটি পিবিআই বা সিআইডির অধীনে দেয়ার।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী আকবর হোসাইন খান রাব্বি হত্যা রহস্যের জোট খোলেনি দীর্ঘ পাঁচ মাসেও।

মামলাটি চট্টগ্রামের খুলশী থানার অধীনে রয়েছে। দীর্ঘ সময়েও তদন্তে কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি উঠেছে মামলাটি পিবিআই বা সিআইডির অধীনে দেয়ার। এ জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত আবেদনও করা হয়েছে। তার পরও মামলাটি স্থানান্তর হয়নি। মামলায় উল্লিখিত সন্দেহভাজনদের এখন অবধি জিজ্ঞাসাবাদের আওতায়ও আনা হয়নি।

মামলার তদন্তে কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় পরিবারের পক্ষ থেকে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে।

আকবর হত্যাকাণ্ডের দ্রুত সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে শুক্রবার দুপুরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সংবাদ সম্মেলন করেন আকবরের বড় বোন পাবণী খানম আঁখি ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২তম ব্যাচের মানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আকবর হুসাইন খান রাব্বি ২০২১ সালের ২৭ আগস্ট পুরান ঢাকার মেস থেকে বেরিয়ে যান। তার সহপাঠীরা ওই দিন একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করলে আশপাশেই রয়েছেন বলে জানান তিনি। সবশেষ রাত ৮টা ৩৭ মিনিটে বড় বোন আকবরের সঙ্গে যোগাযোগ করলে একটু পরই বাসায় ফিরবেন বলে জানান। এরপর রাত ৮টা ৫৩ মিনিটে জানা যায় আকবরকে চট্টগ্রামের একটি ফ্লাইওভার থেকে কে বা কারা নিচে ফেলে দিয়েছে। প্রতক্ষ্যদর্শীরা ঘটনাস্থল থেকে অজ্ঞান ও আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করেন। তার কোমরের বাঁ পাশে ভোঁতা কিছু দিয়ে আঘাতের গভীর ক্ষত ছিল। টানা পাঁচ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১ সেপ্টেম্বর ভোরে আকবরের মৃত্যু হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দীর্ঘ পাঁচ মাস পার হয়ে গেলেও অপরাধীরা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে। পুলিশ তদন্তে নেমে এই হত্যার তেমন কোনো তথ্য সংগ্রহ করতে পারেনি। কে বা কারা পরিকল্পনা করে আকবরকে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে নিয়ে গিয়ে হত্যা করেছে, তা জানা যায়নি। আকবরের মোবাইল ফোনটি উদ্ধার হলেও থানা পুলিশ সেটি আনলক করতে গিয়ে রিসেট দেয়। ফলে তার ফোন থেকেও কিছু জানা যায়নি।

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, প্রাথমিক তদন্তে খুলশী থানা পুলিশ এটিকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হিসেবে বর্ণনা করে।

সংবাদ সম্মেলনে আকবরের পরিবারের পক্ষে বড় বোন ও শিক্ষার্থীরা অবিলম্বে এই নৃশংস হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি জানান।

তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মফিজ বলেন, ‘আকবর হত্যা মামলার তদন্ত চলছে। তার ল্যাপটপ সিআইডির ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে প্রতিবেদন পেলে তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানা যাবে।’

এ বিভাগের আরো খবর