দোকানে পণ্য থাকবে, তবে বিক্রেতা থাকবে না। ক্রেতারা দোকানে থাকা পণ্য কিনে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা বিকাশে টাকা পরিশোধ করবেন। দুটি পণ্য কিনলে সঙ্গে নেয়া যাবে একটি চকলেটও। সপ্তাহের প্রতি শনিবার বিকেলে এমন ব্যতিক্রমী দোকান বসবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।
তবে এই দোকানের কোনো নির্ধারিত জায়গা থাকবে না। যেখানে জায়গা খালি পাওয়া যাবে সেখানেই বসবে এই দোকান।
এমন ব্যতিক্রমী দোকানের উদ্যোক্তা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্বধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন নঈম আশরাফ। বর্তমানে তিনি ইউনিয়ন ব্যাংকে কর্মরত রয়েছেন।
বুকলেন্ডু নামে ফেসবুকে একটি পেইজ আছে আশরাফের।
এই পেইজ থেকে যেকোনো বই কমদামে পাওয়া যাবে। এসব বই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দেয়া হবে কোনো বিতরণ ফি ছাড়াই। কেউ চাইলে কিস্তিতেও পরিশোধ করতে পারেন টাকা।
নিজের বইয়ের ব্যবসার প্রচারণার জন্যই বিক্রেতা ছাড়া দোকানের ধারণা এসেছে বলে জানিয়েছেন আশরাফ।
২৯ জানুয়ারি প্রথমবারের মতো বিক্রেতা ছাড়া দোকানটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনিস্টিউটের গেইটের সামনে বসানো হয়। শুধু শনিবার বসানো হলেও ক্যাম্পাস খুললে নিয়মিত বসানোর পরিকল্পনা আছে আশরাফের।
আশরাফ বলেন, ‘আমার এখন এতো পণ্যও নেই। ক্রেতাও নেই। যদি ক্রেতা বাড়ে আর পণ্য বিক্রি হয় তাহলে নিয়মিত বসার চেষ্টা করব। আমাদের দোকানে বই ছাড়াও খাতা, নোটবুক, কলম, মাস্ক এবং স্যানিটাইজার রাখছি।’
কোনো খারাপ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা। এখানে চুরি হওয়ার কোনো ভয় নেই। যারাই কিছু কিনছেন তারাই টাকা পরিশোধ করে দিয়েছেন।’
ব্যতিক্রমী এই সেবাকে নিজেদের জন্য সততার প্রশ্ন মনে করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আরমান হোসেন।
তিনি বলেন, ‘সত্যিই এটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয়ে এরকম নতুন কিছু আসুক। যেগুলো আমাদের জন্য শিক্ষণীয় হবে। শিক্ষার্থীরা সততার শিক্ষা পাবে। আমি মনে করি এটি আমাদের জন্য একটা সততার প্রশ্ন।’