বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নারী বীর মুক্তিযোদ্ধার জমি দখলের চেষ্টা

  •    
  • ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ২০:১২

চরফ্যাশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির মিঞা বলেন, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদা বেগম থানায় অভিযোগ করলে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে দুই পক্ষকে তাদের কাগজপত্র নিয়ে বসতে বলি। তার কিছুদিন পরে ইউএনওর মাধ্যমে ওই জমিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।’

ভোলা জেলার একমাত্র নারী মুক্তিযোদ্ধা ফরিদা বেগমের জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে। পুলিশের নিষেধও মানছে না তারা। স্থানীয় প্রশাসনের স্থিতাবস্থাও মানছে না তারা।

বৃহস্পতিবার দুপুরে চরফ্যাশন উপজেলায় নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ করেন ফরিদা।

তার অভিযোগ, তার নামে দলিল থাকলেও উপজেলার জিন্নাগড় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের ভাগিনা ও ইউপি সদস্যরা সেটি দখল করে নিচ্ছেন।

ফরিদা জানান, উপজেলার জিন্নাগড় ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের উত্তর চর মাদ্রাজ মৌজায় ৬ একর জমি ৬০ বছর ধরে ভোগ দখল করে আসছেন তারা। তার স্বামী ওয়ারিশ সূত্রে এই জমি পেয়েছেন। মৃত্যুর আগে তার নামে লিখে দিয়ে যান স্বামী। এই জমি চাষ করে আয় থেকেই ছেলে মেয়ের পড়াশোনার খরচ মেটাতেন।

হঠাৎ করে স্থানীয় জিন্নাগড় ইউনিয়নের মেম্বার সফিজল হক ও চেয়ারম্যানের ভাগিনা জাহাঙ্গীর কাজী এবং স্থানীয় এক ব্যবসায়ী মো. বেলাল তার শ্বশুরের অন্য ওয়ারিশদের কাছ থেকে জমি কিনে তার দখলে থাকা জমিও দখলের চেষ্টা করছে। তার জমিতে না যেতে চাষিদেরকে নানাভাবে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে।

এ বিষয়ে চরফ্যাশন থানায় অভিযোগ করলে থানা পুলিশ গিয়ে দুই পক্ষকে কাগজপত্র নিয়ে থানায় আসতে বলে। সেই সঙ্গে যারা দখলের চেষ্টা করছে, তাদেরকে জমিতে যেতে নিষেধ করে।

কিন্তু থানা পুলিশের নিষেধ অমান্য করে সীমানা পিলার ও সেচ পাম্প পানিতে ফেলে দেন মেম্বারের লোকজন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) লিখিত অভিযোগ দেন ফরিদা। পরে তিনি দেন স্থিতাবস্থা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি মেম্বার সফিজল হক ও চেয়ারম্যানের ভাগিনা জাহাঙ্গীর কাজীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

তাদের সহযোগী মো. বেলাল বলেন, ‘আমরা ফরিদা বেগমের কোনো জমি দখল করিনি। তাদের অন্য ওয়ারিশদের থেকে জমি কিনেছি। তারা আমাদের যেখানে দখল দেখিয়েছেন আমরা ওই খানেই দখল নিয়ে গিয়েছিলাম।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হোসেন বলেন, ‘শুনেছি সফিজল মেম্বারসহ ২/৩ জন মুক্তিযোদ্ধা ফরিদা বেগমদের অন্য ওয়ারিশদের থেকে এই জমি ক্রয় করেছেন। এবং তারা সেখানে দখলে যাওয়া চেষ্টা করছেন। এই জমির সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

চরফ্যাশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির মিঞা বলেন, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদা বেগম থানায় অভিযোগ করলে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে দুই পক্ষকে তাদের কাগজপত্র নিয়ে বসতে বলি। তার কিছুদিন পরে ইউএনওর মাধ্যমে ওই জমিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।’

ইউএনও আল-নোমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দুই পক্ষের কাগজপত্র দেখেছি। বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদা বেগমের কাগজ ঠিক রয়েছে। তার পরিবার আদালতে একটি মামলা করেছে।

ভোলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সুজিত হাওলাদার বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে অহেতুক হয়রানি করলে তিনি বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন।

এ বিভাগের আরো খবর