রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের ওপর কানাডার চাপ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
ঢাকায় কানাডার নবনিযুক্ত হাইকমিশনার লিলি নিকোলস বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে পরিচয়পত্র পেশকালে রাষ্ট্রপতি এই আহ্বান জানান।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে কানাডার সহায়তার উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আশা করি ভবিষ্যতে এ সহায়তা আরও সম্প্রসারিত হবে। রোহিঙ্গারা যাতে নিজ দেশে সসম্মানে ফিরে যেতে পারে, সে ব্যাপারে মিয়ানমারের ওপর কানাডার চাপ প্রয়োগ অব্যাহত থাকবে।’
করোনা মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশকে টিকাসহ অন্যান্য সরঞ্জাম দিয়ে সহযোগিতা করায় কানাডার সরকার ও জনগণকে ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রপতি।
হাইকমিশনারকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘কানাডা বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন অংশীদার। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। বাংলাদেশের জন্য ডিউটি ও কোটা ফ্রি প্রবেশাধিকার থাকায় কানাডা বাংলাদেশের রপ্তানির অন্যতম বড় গন্তব্যস্থল।’
দেশের বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশের কথা উল্লেখ করে কানাডার বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিভিন্ন সেক্টরে বিনিয়োগের আহ্বান জানান আবদুল হামিদ। দুই দেশের বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত ব্লু রিবন ওয়ার্কিং গ্রুপ এ লক্ষ্যে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির প্রশংসা করে নবনিযুক্ত হাইকমিশনার বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ মানবতা ও সাহসিকতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
তিনি রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে কানাডা সরকারের সার্বিক সহযোগিতার বিষয়ও তুলে ধরেন।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন এবং সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।