বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আন্দোলনে অচল পেট্রাপোল, ২ বন্দরে আটকা শত শত ট্রাক

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৮:১৬

পেট্রাপোল এক্সপোর্ট অ্যান্ড ইমপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক প্রদীপ দে বলেন, ‘টানা চার দিনে পড়ল আন্দোলন। পেট্রাপোল বন্দর বন্ধ থাকায় ক্ষতির মুখে পড়েছে সীমান্ত বাণিজ্য। দুই দেশের বন্দর এলাকায় আটকা পড়েছে শত শত পণ্যবাহী ট্রাক। আমরা চাই দ্রুত এর সমাধান করে বন্দরে কাজের গতি আসুক।’

ক্লিয়ারিং এজেন্টসহ আট সংগঠনের আন্দোলনে অচল হয়ে পড়েছে বেনাপোল সীমান্তের ওপারে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর। চার দিন ধরে বন্ধ রয়েছে দুই দেশের গুরুত্বপূর্ণ দুই স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি। এতে বন্দর এলাকায় আটকা পড়েছে শত শত পণ্যবাহী ট্রাক।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ক্লিয়ারিং এজেন্ট, ট্রাকমালিকসহ আট সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে পেট্রাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষের সমঝোতা বৈঠক ভেস্তে গেছে। বৈঠকে কোনো সমাধান না হওয়ায় আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রেখে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে অটল আছেন ধর্মঘটীরা।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান।

তিনি জানান, পেট্রাপোল ল্যান্ডপোর্ট ম্যানেজার এক পত্রে আন্দোলনকারীদের এক মাসের সময় দিয়ে আমদানি-রপ্তানি চালুর আহ্বান জানিয়েছেন। আন্দোলনকারীরা চার মাস সময় চেয়ে পাল্টা চিঠি দিয়েছেন। দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি চিঠি চালাচালিতে অচলাবস্থা দীর্ঘায়িত হচ্ছে।

বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার জানান, পেট্রাপোল বন্দরে ধর্মঘটের কারণে বৃহস্পতিবার চতুর্থ দিনের মতো দুই বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে।

তবে বেনাপোল বন্দরে পণ্য খালাস, পণ্য ওঠানামা, শুল্কভবনের কার্যক্রম এবং যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান তিনি।

বন্দরের অভ্যন্তরে পণ্যবাহী ট্রাক রাখার জায়গায় চালক ও খালাসিদের ঢুকতে দেয়ার দাবিতে সোমবার আন্দোলন শুরু করে বন্দর ব্যবহারকারী আট সংগঠন।

কিছু দিন আগে বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, বৈধ কাগজপত্র ছাড়া বন্দরে কোনো ট্রাক ঢুকতে দেয়া হবে না। এর পর থেকেই বৈধ কাগজ ছাড়া ট্রাকচালক ও খালাসিদের ভেতরে ঢুকতে বাধা দেয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ ধর্মঘটীদের।

বুধবার কলকাতায় শুল্ক দপ্তরের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের বৈঠক হলেও সমাধান হয়নি।

পেট্রাপোল এক্সপোর্ট অ্যান্ড ইমপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক প্রদীপ দে বলেন, ‘টানা চার দিনে পড়ল আন্দোলন। পেট্রাপোল বন্দর বন্ধ থাকায় ক্ষতির মুখে পড়েছে সীমান্ত বাণিজ্য। দুই দেশের বন্দর এলাকায় আটকা পড়েছে শত শত পণ্যবাহী ট্রাক। আমরা চাই দ্রুত এর সমাধান করে বন্দরে কাজের গতি আসুক।’

আমদানি-রপ্তানিতে জড়িতদের দাবি, করোনা পরিস্থিতিতে অনেক গাড়ির কাগজ পুনঃ নবায়ন করা হয়নি। এর মধ্যে হঠাৎ করে নতুন নিয়মের কারণে অনেক পণ্যবাহী ট্রাক আটকে যাবে। গাড়ির কাগজ বৈধ করার সময় আরও ছয় মাস চেয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। দুপুরের বৈঠকের পর তা চার মাসে নেমে আসে।

বিএসএফ ও পেট্রাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, পেট্রাপোল এক্সপোর্ট অ্যান্ড ইমপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন, সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশন, বনগাঁ গুডস ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন, বনগাঁ নব ট্রাকমালিক সমিতি, বনগাঁ মোটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, সীমান্ত পরিবহন মালিক সমিতি ও শ্রমিক সংগঠন সোমবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ডাক দেয়।

পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, বুধবার শুল্ক দপ্তরের সঙ্গে কলকাতায় দীর্ঘ বৈঠকে ক্লিয়ারিং এজেন্টরা তাদের সংগঠনের পক্ষে দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন। তাতে কোনো সবুজ সংকেত মেলেনি।

আমদানি-রপ্তানি কাজে বন্দর অভ্যন্তরে প্রবেশসহ নানা হয়রানি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে জানান পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট নেতা কার্তিক চক্রবর্তী।

এ বিভাগের আরো খবর