আবুল কালাম চৌধুরী পেশায় মোটরসাইকেলের মেকানিক। বছর খানেক আগে মোটরসাইকেল চুরির অপরাধে এলাকা ছাড়েন। এদিকে চুরি পেশায় আগে থেকেই দক্ষ সাকিব।
কালামের বাড়ি সন্দ্বীপ আর সাকিব সীতাকুণ্ডের বাসিন্দা। তারা দুজন পূর্বপরিচিত।
কিছুদিন চুরি থেকে দূরে ছিলেন তারা। বিরতির পর তারা আবারও মোটরসাইকেল চুরি শুরু করেন।
তাদের চুরি করা মোটরসাইকেল বিক্রিতে সাহায্য করতেন নগরীর কদমতলী এলাকার মেকানিক দোলন দাশ। সবাই চোরাই মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন ও চেসিস নম্বর পরিবর্তন করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) জাল কাগজপত্র তৈরি বিক্রি করেন।
তিন সদস্যের এই চোর চক্র গত মাসে চুরি করেন একটি মোটরসাইকেল। তারা বাইকটি বিক্রির আগে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন।
বুধবার রাতে পুলিশের অভিযানে সীতাকুণ্ডের সলিমপুর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় মোটরসাইকেলটিও জব্দ করা হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নিউজবাংলাকে এসব তথ্য জানিয়েছেন চট্টগ্রামের বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান।
তিনি বলেন, ‘তিন সদস্যের চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে মোটরসাইকেল চুরি করে আসছে। ৬ জানুয়ারি বালুছড়ার একটি ভবনের পার্কিং থেকে মোটরসাইকেল চুরি করেন কালাম ও সাকিব। বাইকটি বিক্রির উদ্দেশ্য অক্সিজেন এলাকায় একটি গ্যারেজে রাখেন। সেখানেই চেসিস ও ইঞ্জিনের নম্বর পরিবর্তন করেন মেকানিক দোলন। অভিযান চালিয়ে চোর চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
তাদের তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি কামরুজ্জামান।