বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জুবিলী ব্যাংক অবসায়নের দায়িত্বে বিচারপতি মানিক

  •    
  • ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৭:২৬

১৯১৩ সালের ১৫ এপ্রিল কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার জানিপুরে ‘খোকসা জানিপুর জুবিলী ব্যাংক লিমিটেড’ প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৮৪ সালের ২৬ জুন বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে লাইসেন্স পেয়ে ব্যাংকটি বাণিজ্যিকভাবে ব্যবসা শুরু করে। ১৯৮৭ সালের ২৬ জানুয়ারি এটি নাম পরিবর্তন করে হয় ‘জুবিলী ব্যাংক লিমিটেড’। বিভিন্ন সময় ধরে বঙ্গবন্ধুর কয়েক খুনি এই ব্যাংকের মালিকানায় ছিলেন।

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার ৩৪ বছর পুরনো জুবিলী ব্যাংকের অবসায়নে অফিসিয়াল লিকুইডিটর (অবসায়ক) হিসেবে আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে নিয়োগ দিয়েছে হাইকোর্ট। এই দায়িত্ব পালনকালে তিনি মাসিক সম্মানি হিসেবে পাবেন দেড় লাখ টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এক আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। গত বছরের ২৯ নভেম্বর দেয়া ওই আদেশের অনুলিপি বৃহস্পতিবার প্রকাশ পেয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের আবেদন থেকে জানা যায়, ১৯১৩ সালের ১৫ এপ্রিল কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার জানিপুরে ‘খোকসা জানিপুর জুবিলী ব্যাংক লিমিটেড’ প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৮৪ সালের ২৬ জুন বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে লাইসেন্সপ্রাপ্ত হয়ে ব্যাংকটি বাণিজ্যিকভাবে ব্যবসা শুরু করে।

ব্যাংকটি ১৯৮৭ সালের ২৬ জানুয়ারি নাম পরিবর্তন করে হয় ‘জুবিলী ব্যাংক লিমিটেড’ (অ-তফসিলি পাঁচটি ব্যাংক)। বিভিন্ন সময় ধরে বঙ্গবন্ধুর কয়েক খুনি জুবিলী ব্যাংকের মালিকানায় ছিলেন।

গত কয়েক বছরে ব্যাংকটি নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়। এমন পরিস্থিতে বাংলাদেশ ব্যাংক এই ব্যাংকের অবসায়নে হাইকোর্টে আবেদন করে।

আদালতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তানজীব-উল আলম ও কাজী এরশাদুল আলম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল ওহাব এবং যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মগুলোর পরিদপ্তরের পক্ষে একেএম বদরুদ্দোজা।

আইনজীবী কাজী এরশাদুল আলম জানান, ব্যাংকটির মূলধনের বিষয়ে ব্যাংক কোম্পানি আইনের বিধান মানা হয়নি। এ কারণে অবসায়ন চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।

আদেশে আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরীকে ‘দ্য অফিসিয়াল লিক্যুইডিটর’ হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এ জন্য তাকে মাসে এক লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা ফি দিতে হবে।

এছাড়া সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার ফারিয়া হককে অতিরিক্ত লিক্যুইডিটর হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তাকে প্রতি মাসে পঞ্চাশ হাজার টাকা ফি দিতে হবে। এছাড়া ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে একটি প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। নয় মাসের মধ্যে তারা এই ব্যাংকের বিষয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে সব কাজ শেষ করবেন।

এ বিভাগের আরো খবর