বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মৃত্যু ৩০ এর ঘরেই, কমছে শনাক্তের হার

  •    
  • ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৭:২১

বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৮ জানুয়ারি সংক্রমণের হার দাঁড়ায় রেকর্ড ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ। তার পরের দিন থেকে সংক্রমণ ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে। সবশেষ ২৫ শতাংশের ঘরে এসেছে এই হার।

করোনাভাইরাসে ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু টানা ৫ দিন ৩০ এর ঘরে। তবে পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ধীরে ধীরে কমছে। এক সপ্তাহ আগে শনাক্তের হার ৩৩ ছাড়িয়ে রেকর্ড হলেও সেটি এবার নেমে এসেছে ২৫ শতাংশে।

গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৩ জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

বৃহস্পতিবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ হাজার ৫৯৬ জন নতুন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।

পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার পাওয়া গেছে ২৫ দশমিক ৮৬, যা এক সপ্তাহ আগেও ৩০ ছাড়িয়ে গিয়েছিল।

দেশে এ নিয়ে মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৮ লাখ ৩৫ হাজার ৭৭৬ জনের শরীরে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৮ হাজার ৪৯৪ জনের।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ৮৬৮টি ল্যাবে করোনার ৪৪ হাজার ৮৪৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ। এ নিয়ে টানা ২৭ দিন করোনা শনাক্তের হার ৫ শতাংশের বেশি।

গত ৪ অক্টোবর করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসার পর ৭ জানুয়ারির আগ পর্যন্ত শনাক্তের হার পাঁচ শনাক্তের নিচেই ছিল। এই দিন সংক্রমণের হার প্রথমবারের মতো ৫ শতাংশ ছাড়িয়ে গেলে দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা দেখা দেয়।

গত ২৮ জানুয়ারি সংক্রমণের হার দাঁড়ায় রেকর্ড ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ। তার পরের দিন থেকে সংক্রমণের হার কিছু কমতে কমতে ২৫ শতাংশের ঘরে এসেছে।

করোনা দ্বিতীয় ঢেউয়ে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তের এক মাসের মাথায় গত বছরের আগস্টে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু দেখে দেশ। সেই সময়ে একদিনে সর্বোচ্চ ২৬৪ জনের মৃত্যুর সংবাদ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে তৃতীয় ঢেউয়ে শনাক্ত ১৬ হাজার ছাড়ালেও এই ঢেউয়ে একদিনে সর্বোচ্চ ৩৬ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৯৫৫ জন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৮১ হাজার ৯২ জন। সুস্থতার হার ৮৬ দশমিক ১৩ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে পুরুষ ২২ ও নারী ১১ জন।

বিভাগ অনুযায়ী সর্বোচ্চ ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এর পরই রয়েছে খুলনা বিভাগ। সেখানে করোনা শনাক্ত হয়ে মারা গেছেন ৬ জন। এ ছাড়া রাজশাহীতে ৪ জন, চট্টগ্রাম ও সিলেটে দুই জন করে মারা গেছেন। এ ছাড়া রংপুরে একজন মারা গেছে।

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রথম ধরা পড়ে ২০২০ সালের ৮ মার্চ। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত তিনটি ঢেউ এসেছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের একপর্যায়ে দেশে শাটডাউন নামে কঠোর বিধিনিষেধ জারি করা হয়। ওই সময় বাড়ির বাইরে গেলে জরিমানাও করা হয়। এবার বিধিনিষেধ দিলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে তা প্রতিপালনে তেমন কঠোরতা দেখা যায়নি। তবুও বিধিনিষেধ আরও দুই সপ্তাহ বাড়িয়ে ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টা পর্যন্ত করেছে সরকার। এ সময়ে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ্য করা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর