বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নদীভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিতে মানববন্ধন

  •    
  • ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৫:৪৬

বহলবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম সাইদুল বলেন, ‘নদীভাঙনে এলাকার মানুষের পথে বসার অবস্থা। প্রতিরোধে উদ্যোগ না নিলে এদের নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোনো পথ থাকবে না।’

পদ্মা নদীর ভাঙনে হারিয়ে যাচ্ছে কুষ্টিয়ার মিরপুর ও ভেড়ামারা উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের বসতবাড়ি ও ফসলি জমি। ভাঙন প্রতিরোধে উদ্যোগ নেয়ার দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয়রা।

মিরপুরের সাহেবনগরে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া মানববন্ধন চলে দুপুর ১২টা পর্যন্ত।

মানববন্ধনে দাবি আদায়ের স্লোগানসংবলিত প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার হাতে স্থানীয় মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও এলাকার নারী-পুরুষসহ সর্বস্তরের জনসাধারণ অংশ নেন।

এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা প্রায় এক ঘণ্টা কুষ্টিয়া মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। এতে মহাসড়কের দুই পাশে বাস-ট্রাকসহ কয়েক শ যানের জট লাগে। পরে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

নদীভাঙন প্রতিরোধ কমিটির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানা, বহলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম সাইদুল, তালবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান বিশ্বাস, বারুইপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মন্টুসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও জাসদের নেতারা বক্তব্য দেন।

বক্তারা জানান, পদ্মা নদীর ভাঙনে মিরপুর উপজেলার তালবাড়িয়া, বহলবাড়ীয়া বারুইপাড়া ও ভেড়ামারা উপজেলার বাহিরচর ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলি জমি এরই মধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

অনেকের বাড়িঘর বিলীন হয়েছে, হুমকির মুখে পড়েছে আরও শত শত বসতবাড়ি।

নদীভাঙনে এরই মধ্যে বিলীন হয়ে গেছে অনেক ফসলের মাঠ আর বসতবাড়ি। ছবি: নিউজবাংলা

তালবাড়িয়া পয়েন্টে নদী ভাঙতে ভাঙতে কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কের ৮০ মিটারের মধ্যে চলে এসেছে। উত্তরবঙ্গের সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে এ মহাসড়ক দিয়েই। মহাসড়কটি ভেঙে গেলে মোংলা সমুদ্র বন্দরের সঙ্গে উত্তরের সড়ক যোগাযোগও বন্ধ হয়ে যাবে।

মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক প্রকৌশলী ফেরদৌস ওয়াহেদ খান বলেন, ‘নদীর ওপারে পাবনার রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র করতে নদীশাসন করা হচ্ছে। নদীর প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়ে উল্টো প্রান্তে বহলবাড়িয়া ইউনিয়নে ভাঙন তীব্র হয়েছে। এদিকে বর্ষা মৌসুমে পানির চাপেও যেমন ভাঙন দেখা গেছে, তেমনি শুষ্ক মৌসুমে পানি নেমে যাওয়ার সময়ও ভাঙছে।’

বহলবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম সাইদুল বলেন, ‘নদীভাঙনে এলাকার মানুষের পথে বসার অবস্থা। প্রতিরোধে উদ্যোগ না নিলে এদের নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোনো পথ থাকবে না।’

তবে ভাঙন প্রতিরোধে এরই মধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড কিছু জায়গায় বালির বস্তা ফেলেছে।

এ বিষয়ে ভাঙন প্রতিরোধ কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানা বলেন, ‘তারা যেখান থেকে অনৈতিক সুবিধা পায় সেই বালুঘাটের কাছেই শুধু বালির বস্তা ফেলেছে। কৃষকের ফসলের ক্ষেত যেখানে নদীতে চলে যাচ্ছে, সেখানে তারা কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না।’

তাই স্থায়ীভাবে বাঁধ নির্মাণের দাবি তাদের। একই সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে বালুর বস্তা ফেলার দাবি তোলেন তারা।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আফসার উদ্দিন বলেন, ‘ওই এলাকার নদীভাঙন প্রতিরোধে একটি প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেটি পাস করাতে তদবিরও চলছে। পাস হলে স্থায়ী সমাধান হবে।

‘বৃহস্পতিবার ঢাকা অফিস থেকে প্রকৌশলীরা এলাকা পরিদর্শন করেছেন। আশা করছি দ্রুতই ভাঙন প্রতিরোধে উদ্যোগ নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর