গত দুই মাসে ১৩৫ টাকা কমানোর পর এবার ১২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ৬২ টাকা বাড়াল বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন-বিইআরসি। জানুয়ারি মাসের দর ১ হাজার ১৭৮ টাকা থেকে বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ২৪০ টাকা।
শুধু ১২ কেজি নয়, সাড়ে ৫ কেজি থেকে শুরু করে ৪৫ কেজি পর্যন্ত সব সিলিন্ডারের দামও বাড়ানো হয়েছে।
দাম বেড়েছে যানবাহনে ব্যবহৃত এলপিজির, যা অটোগ্যাস নামে পরিচিত। ফেব্রুয়ারির জন্য অটোগ্যাসের দাম প্রতি লিটার ৫৭ টাকা ৮১ পয়সা করা হয়েছে, যা জানুয়ারিতে ছিল ৫৪ টাকা ৯৪ পয়সা। লিটারে বেড়েছে প্রায় ২ টাকা ৮৭ পয়সা।
বাসাবাড়িতে কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত (রেটিকুলেটেড) এলপিজির দামও বাড়ানো হয়েছে। প্রতি কেজি ৯৪ টাকা ৯৪ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১০০ টাকা ১০ পয়সা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) নতুন এই দর ঘোষণা দেয়।
ভার্চুয়াল এই দর ঘোষণা অনুষ্ঠানে অংশ নেন বিইআরসি চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল, কমিশনের সদস্য মকবুল ই-এলাহী চৌধুরী, মোহাম্মদ আবু ফারুক, মোহাম্মদ বজলুর রহমান।
ঘোষিত দর সন্ধ্যা ৬টা থেকে কার্যকর হবে বলে জানান চেয়ারম্যান।
গত ডিসেম্বরে ১২ কেজি এলপিজির সিলিন্ডারের দাম ৮৫ টাকা এবং জানুয়ারিতে আরও ৫০ টাকা কমানো হয়েছিল।
গত বছরের ১২ এপ্রিল প্রথমবারের মতো এলপিজির দর ঘোষণা করে বিইআরসি। তখন বলা হয়েছিল, আমদানিনির্ভর এই জ্বালানির দাম নির্ধারণে সৌদি রাষ্ট্রীয় কোম্পানি আরামকো ঘোষিত দরকে ভিত্তিমূল্য ধরা হবে। সৌদির দর ওঠানামা করলে ভিত্তিমূল্য ওঠানামা করবে।
অন্যান্য কমিশন অপরিবর্তিত থাকবে। জানুয়ারিতে সৌদি সিপির দর ছিল প্রোপেন ৭৪০, বিউটেন ৭১০ ডলার; যা চলতি মাসে বেড়ে মেট্রিক টন ৭৭৫ ডলারে বিক্রি হচ্ছে।
ঘোষণার পর থেকে প্রতি মাসে এলপিজির দর ঘোষণা করে আসছে বিইআরসি। কিন্তু বাস্তবে সেই দরের পুরোপুরি প্রতিফলন হচ্ছে না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বেশি দরে বিক্রির খবর মিলেছে।
বেসরকারি পর্যায়ে মূল্য সংযোজন করসহ (মূসক) প্রতি কেজি এলপিজি ৯৮ টাকা ১৭ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১০৩ টাকা ৩৪ পয়সা করেছে বিইআরসি।