বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চবি ছাত্রী হলে ‘শাড়ি পরানো’র বিজ্ঞাপন ভাইরাল

  •    
  • ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৩:৩৫

বিজ্ঞাপন দেয়া ওই ছাত্রী বলেন, ‘বিজ্ঞাপনটি নিয়ে অনেকেই ইতিবাচক মন্তব্য করছেন। যারা ইতিবাচক মন্তব্য করছেন, তাদেরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আর যারা নেতিবাচক মন্তব্য করছেন, তারা তাদের মন্তব্যের মধ্য দিয়ে নিজেদের নিচু মানসিকতার পরিচয় দিচ্ছেন।’

‘ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবস’ উপলক্ষে শাড়ি পরানো হবে, এমন শিরোনামে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ছাত্রী হলের দেয়ালে সাঁটানো একটি বিজ্ঞাপন নিয়ে চলছে আলোচনা।

ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপ, পেইজ, ওয়ালে ওয়ালে ঘুরছে বিজ্ঞাপনটি। কেউ এটি হাস্য-রসাত্মক শিরোনাম দিয়ে শেয়ার দিচ্ছেন, মন্তব্য করছেন। আবার কেউবা করছেন প্রশংসা।

মঙ্গলবার দিন জুড়েই আলোচনায় ছিল বিজ্ঞাপনটি। শাড়ি পরিয়ে ৪০ টাকা নেয়া ও ‘পরানো’ বানানে ভুল হওয়ার বিষয়টিই আলোচনার বিষয়বস্তু হয়েছে।

তবে বিষয়টি নতুন নয় বলে মন্তব্য করেছেন হলের একাধিক শিক্ষার্থী।

বিভিন্ন উৎসবকে কেন্দ্র করে হলে হলে শাড়ি পরানো, মেহেদী পরানোসহ নানা ধরনের উদ্যোগ নেন হলের শিক্ষার্থীরা। তবে এর আগে সামাজিক মাধ্যমে না আসায় বিষয়টি সবার কাছে নতুন বলে মনে হচ্ছে। এ বিজ্ঞাপনটি দেয়ালে সাঁটানোর আগেই ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে মন্তব্য করেন ছাত্রীরা।

নাজিয়াত ওয়াকিয়া নামের ছাত্রী ফেসবুকের পোস্টে লিখেন, ‘এটা একটা প্রশংসনীয় উদ্যোগ। অনেকেই নিজে নিজে শাড়ি পরতে পারেন না। তাদের জন্যে খুবই হেল্পফুল হয় এটা।

‘আমি নিজেই প্রথম বর্ষে থাকাকালীন পহেলা বৈশাখের দিন এরকম পোস্টার দেখে একজনের কাছে শাড়ি পরতে গিয়েছি। পার্লারে পরালে জনপ্রতি ১০০-১৫০ টাকা চার্জ করে। আর মেয়েদের হল থেকে ২ নং গেইট/১ নং গেইট পার্লারে যাওয়াও কিন্তু বেশ দূর।’

‘হলে অনেকেরই জামা-কাপড়, জুয়েলারির ছোটখাটো রুমবেজড বিজনেজ আছে। এই আপুর উদ্যোগকে মার্কেটিং করে দেয়ার জন্যে ধন্যবাদ।’

প্রীতিলতা হলের শিক্ষার্থী সুজানা মালিহা লিখেন, ‘পহেলা বৈশাখ, ফাল্গুন আরও অনেক প্রোগ্রামের আগে হলে তো এমন অনেক লিফলেট দেখি। আমরাই তো রুমে রুমে ঘুরি কোন আপু শাড়ি পরাতে পারে। এটা তো আরও ভাল না খুঁজে নির্দিষ্ট জায়গায় গিয়ে পরে আসব। এতে ভাইরাল হওয়ার কী হলো!’

জুবায়ের হাসান রাব্বি নামের এক শিক্ষার্থী মন্তব্য করেন, ‘সবাই এখানে যেভাবে মজা নিচ্ছে, যেন পার্লারে কোনদিন কেউ টাকা দিয়ে শাড়ি পরে না! কেউ কোন কাজে পারদর্শী হলে, সেটা ফ্রিতে না করাটা দোষের কিছু দেখি না।’

নন্দিতা ধর নামের আরেকজন লিখেছেন, ‘সবকিছু নিয়ে ট্রল না করলে আজকাল কারও পেটের ভাত হজম হয় না। শাড়ি পরতে অনেকেই পারে না, কিন্তু এ সব প্রোগ্রামে মেয়েরা শাড়ি পরতে ভালোবাসে। তাই কেউ একজন যদি এই উদ্যোগ নেয় তাতে সমস্যা কোথায়? এখানে হাসির তো কিছু নেই। আর বানান তো ভুল একটু হতেই পারে, এমন না যে আমরা কেউ কখনো কিছু ভুল করি না।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিজ্ঞাপনদাতা ওই ছাত্রী বলেন, ‘বিজ্ঞাপনটা হলে টানানোর জন্য আমি বানিয়েছি। কিন্তু হলে লাগানোর আগেই তা ভাইরাল হয়ে গেছে। তবে এটা দেশের সব ছাত্রী হলের জন্য নরমাল একটি বিষয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিজ্ঞাপনটি নিয়ে অনেকেই ইতিবাচক মন্তব্য করছেন। যারা ইতিবাচক মন্তব্য করছেন, তাদেরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আর যারা নেতিবাচক মন্তব্য করছেন, তারা তাদের মন্তব্যের মধ্য দিয়ে নিজেদের নিচু মানসিকতার পরিচয় দিচ্ছেন।’

এ বিভাগের আরো খবর