বাংলাদেশে অটোমোবাইল শিল্পের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। এ খাতের বিকাশ ধরে রাখতে সরকারের নীতিসহায়তা চেয়েছেন উদ্যোক্তারা।
বুধবার অটোমোবাইল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড অ্যাসেম্বালার্স সম্পর্কিত এফবিসিসিআইয়ের স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় এ সহায়তা চান তারা।
আলোচনায় ব্যবসায়ীরা জানান, অটোমোবাইল খাতে নীতিমালার দুর্বলতা আছে। এর অভাবে দেশে মোটরসাইকেল, সিএনজি ও গাড়ির নকশা ও যন্ত্রাংশ তৈরি করা যাচ্ছে না।
এসব কাজের ৯৯ শতাংশই দখল করে আছে বিদেশি কোম্পানি। অথচ দেশীয় প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এসব যন্ত্রাংশ তৈরি করা গেলে এ শিল্পের বিকাশ দ্রুত হবে। এতে করে কর্মসংস্থান বাড়বে। এ জন্য নীতিসহায়তা জরুরি হয়ে পড়েছে বলে জানান তারা।
মতিঝিলের এফবিসিসিআই কার্যালয়ে আয়োজিত বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবসিসিআইর সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।
তিনি বলেন, একসময় বাংলাদেশ ছিল শুধুই আমদানিনির্ভর দেশ। বর্তমানে বাংলাদেশের সক্ষমতা বেড়েছে কয়েক গুণ। প্রয়োজনীয় অনেক পণ্য এখন তৈরি হচ্ছে দেশে, পাশাপাশি রপ্তানিও হচ্ছে। পর্যাপ্ত ব্র্যান্ডিংয়ে অভাবে বিশ্বের অনেক দেশ এখনও বাংলাদেশের সক্ষমতা সম্পর্কে জানে না।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে এখন অনেক পণ্যই তৈরি হচ্ছে যেগুলো আগে ছিল শুধুই আমদানিনির্ভর। অটোমোবাইল একটি বড় সম্ভাবনাময় খাত। মোটরসাইকেলসহ এ খাতের অনেক পণ্য এখন দেশে তৈরি হচ্ছে, পাশাপাশি বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। দেশের এ সক্ষমতা ব্র্যান্ডিং করা হলে রপ্তানি ও বিনিয়োগ বাড়বে। বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ, এফবিসিসিআইর সহসভাপতি মো. হাবিব উল্লাহ্ ডন বলেন, ‘নীতিমালাসংক্রান্ত সমস্যাগুলো সমাধানের পাশাপাশি পণ্যের গুনগতমান নিশ্চিত করে দেশে প্রতিযোগিতামূলক বাজার তৈরি করতে হবে। অটোমোবাইল খাতকে এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের নিয়ে ভবিষ্যতে প্রয়োজনীয় সভা সেমিনার আয়োজন করার কথা জানান তিনি।
অটোমোবাইলসহ খাতভিত্তিক উন্নয়নে কাজ করতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানান সভার সভাপতি ও স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান।
এ জন্য খাতওয়ারী সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা প্রস্তুত করে তা এফবিসিসিআইর মাধ্যমে সরকারের কাছে উপস্থাপনের প্রস্তাব করেন।
কমিটির কো-চেয়ারম্যান, উত্তরা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মতিউর রহমান অভিযোগ করেন, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা না করেই নীতিমালা প্রণয়নের ফলে অটোমোবাইল খাতের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
তিনি বলেন, এ খাতের উদ্যোক্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে নীতি প্রণয়ন করলে তা দেশের অটোমোবাইল শিল্পের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে।