ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় এক স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে।
রুহিয়া থানায় ভুক্তভোগীর বাবা তার মেয়েকে অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগে বুধবার বিকেলে মামলাটি করেন।
নিউজবাংলাকে রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চিত্তরঞ্জন রায় মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মামলায় ৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর বাড়ি সদর উপজেলায়। তাকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
অভিযুক্ত দশম শ্রেণির ছাত্র সুজন ঠাকুরগাঁওয়ের দেবিগঞ্জের বাসিন্দা। তবে তার সহযোগীদের ঠিকানা জানা যায়নি।
মামলার বরাতে ওসি চিত্তরঞ্জন রায় জানান, সোমবার রাতে প্রেমিক সুজনের ফোন পেয়ে ঘর থেকে বেড়িয়ে আসেন নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই ছাত্রী। পরে তাকে মোটরসাইকেলে করে এলাকার একটি মুরগির খামারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সুজন ও তার বন্ধু আশরাফুল, বিপ্লব, আরিফ ও মতিউর মিলে তাকে ধর্ষণ করে।
হাসপাতালে থাকা ওই ছাত্রী নিউজবাংলাকে জানান, এ সময় তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। জ্ঞান ফেরার দেখেন তিনি তার বাড়ির পাশের রাস্তায় পড়ে আছেন। সেখান থেকে বাসায় ফিরে আসেন তিনি।
ভুক্তভোগীর বাবা জানান, ঘটনার দিন রাত ১২টার দিকে পরিবারের সবাই খাওয়া শেষে ঘুমিয়ে পড়ে। রাত ৩টার দিকে তিনি বাড়ির আঙিনায় কান্নার আওয়াজ পেয়ে ঘর থেকে বের হন।
এরপর দেখেন তার মেয়ের গাল বেয়ে রক্ত ঝরছে। এ সময় তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঁচরের চিহ্নও দেখতে পান। পরে স্থানীয় এক পল্লি চিকিৎসকের কাছে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে স্থানীয় মেম্বারকে বিষয়টি জানান।
রুহিয়া থানার ওসি চিত্তরঞ্জন রায় নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ভুক্তভোগী ওই স্কুলছাত্রীকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
‘তার বাবা মেয়েকে অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগে বুধবার বিকেলে মামলা করেছেন। মামলায় সুজনসহ ৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। আসামিদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।’