বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঢাবি হলের নাম থেকে জিয়াউর রহমান বাদ দিল ছাত্রলীগ

  •    
  • ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৮:৩৯

হলের নাম থেকে ‘জিয়াউর রহমান’ শব্দ কেন বাদ দেয়া হয়েছে এমন প্রশ্নে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘এই নামটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ব্যবহার করেন না। তিনি একজন সামরিক স্বৈরশাসক। জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং আমাদের আদালত ঘোষিত একজন অবৈধ শাসক।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ১৮টি হল কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। ঘোষিত কমিটির প্যাডে সব হলের নাম ঠিক থাকলেও মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল থেকে ‘জিয়াউর রহমান’ এবং ফজলুল হক মুসলিম হল ও সলিমুল্লাহ মুসলিম হল থেকে বাদ দেয়া হয়েছে ‘মুসলিম’ শব্দটি।

এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।

যেই বিজ্ঞপ্তিতে জিয়াউর রহমান শব্দটি বাদ দেয়া হয়েছে, সেটি সংযুক্ত করে সংবাদকর্মী বোরহান উদ্দীন ফেসবুকে লেখেন, দেশের মানুষ যখন ইতিবাচক ধারার রাজনীতি দেখতে চায়, তখন ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ নতুন কমিটির প্রেস রিলিজে জিয়াউর রহমানের নামটা বাদ দিয়ে নিজেদের ছোট করল।

তিনি লেখেন, যদি অনিচ্ছাকৃত হয় তাহলে সংশোধন করে নতুন প্রেস রিলিজ দিতে পারে। না হলে নিজেদের সংগঠনের সচেতন কর্মীরাও এটাকে ভালোভাবে নেবে না। কারণ সাবেক এই রাষ্ট্রপতি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না এমন কথা কেউ বলেন না। বলতে পারবেও না। শুভবুদ্ধির উদয় হোক।

হলের নাম থেকে ‘জিয়াউর রহমান’ শব্দ কেন বাদ দেয়া হয়েছে এমন প্রশ্নে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘এই নামটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ব্যবহার করে না। তিনি একজন সামরিক স্বৈরশাসক। জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং আমাদের আদালত ঘোষিত একজন অবৈধ শাসক।’

সাদ্দাম বলেন, ‘যিনি জাতির পিতার হত্যাকারীদের পুনর্বাসন করেছেন, সংবিধানকে পশ্চাৎপদ করেছেন এমন একজনের নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানে কোনো হলের নাম থাকবে শিক্ষার্থীরা সেটি মেনে নেয় না। শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের যে বহিঃপ্রকাশ আমরা আমাদের নামকরণে তারই প্রতিফলন ঘটিয়েছি।’

‘মুসলিম’ শব্দ বাদ দেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, অনেক ক্ষেত্রে নামগুলো সংক্ষিপ্ত করা হয়। এই দুটিকে (জিয়াউর রহমান, মুসলিম) গুলিয়ে ফেলার কোনো কারণ নেই।

অন্য কোনো হলের নাম এ রকম সংক্ষিপ্ত করা হয়নি জানালে তিনি এটির কোনো উত্তর দেননি। এরপর ‘ওকে ভাইয়া’ বলে ফোন কেটে দেন।

তবে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সহানুভূতি পাওয়ার জন্যই মুসলিম শব্দটি বাদ দেয়া হয়েছে বলে মনে করেন ডাকসুর সাবেক সহসভাপতি নুরুল হক নুর।

তিনি বলেন, ‘নবাব স্যার সলিমুল্লাহর জায়গার ওপরেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটাকে চাইলেই মুছে দেয়া যাবে না। সলিমুল্লাহ মুসলিম হল এবং ফজলুল হক মুসলিম হল থেকে মুসলিম শব্দ বাদ দিয়ে তারা মূলত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সহানুভূতি পেতে চায়। তারা বুঝাতে চায় তারা অসাম্প্রদায়িক। এটি মূলত ধান্দাবাজির রাজনীতির জন্য করা হয়েছে। অসাম্প্রদায়িকতার নামে তারাই সাম্প্রদায়িকতাকে সবেচেয়ে বেশি পৃষ্ঠপোষকতা করছে।’

জিয়াউর রহমানের নাম বাদ দেয়ার বিষয়ে নুর বলেন, ‘আজকে যারা রাজনীতি করে তারা অল্প বয়সের ছেলে। জিয়াউর রহমান তো তাদের বাপ-দাদাদের কেউ যদি মুক্তিযুদ্ধ করে থাকে তাদের সঙ্গে যুদ্ধ করেছেন। বঙ্গবন্ধুই তো জিয়াউর রহমানকে উপাধি দিয়েছেন। জিয়াউর রহমানকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অস্বীকার করা বঙ্গবন্ধুকেই অসম্মান করার শামিল।’

এ বিভাগের আরো খবর