ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার মুহুরী প্রজেক্ট এলাকায় রাস্তা নির্মাণে বাধা দেয়া ও শ্রমিকদের পিটিয়ে আহত করার অভিযোগে মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুল জলিল আদর, আমিরাবাদ ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব নবী ফরহাদসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ঠাকুরগাঁও মায়ের দোয়া কনস্ট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী নুর ইসলাম।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, মুহুরী রেগুলেটরের পূর্ব পাশের ১ হাজার ২০০ মিটার রাস্তা সংস্কারের দায়িত্ব পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ঠাকুরগাঁও মায়ের দোয়া কনস্ট্রাকশন।
গত ১৩ জানুয়ারি সংস্কারকাজের শুরু থেকেই সাইড ইঞ্জিনিয়ার ও শ্রমিকদের অনবরত প্রাণনাশের হুমকি দিতে থাকেন আইয়ুব নবী ফরহাদ। সংস্কারকাজে ব্যবহৃত রোলার ও স্ক্যাভেটর মেশিনে আগুন দেয়ারও হুমকি দেন তিনি।
পরে ৩১ জানুয়ারি আইয়ুব নবী ফরহাদ ও আব্দুল জলিল আদরের নির্দেশে মামুন, ফারুক, আতিকসহ ১০-১২ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে কেয়ারটেকার মাইনউদ্দিনসহ বেশ কয়েকজন শ্রমিককে মারধর করেন। এ সময় মাইনুদ্দিনের একটি মোবাইলও ছিনিয়ে নেয়া হয়।
পরে এ ঘটনায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির অংশীদার নুর ইসলাম বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১২ জনকে আসামি করে সোনাগাজী মডেল থানায় একটি মামলা করেন।
নুর ইসলাম দাবি করেন, ফেনীতে কাজ করতে হলে সেখানকার এক নেতার অনুমতি ছাড়া কাজ করা যাবে না। কাজ করতে গেলে প্রকাশ্যে মেরে ফেলার হুমকি দেন তারা।
তিনি বলেন, ‘প্রয়োজনে কমিশন দেব তবুও আমাকে কাজ করার সুযোগ দিতে অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু তারা সুযোগ দেননি।’
অভিযুক্ত উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আব্দুল জলিল আদর বলেন, ‘এ ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত না। কে বা কারা এটি করেছে আমি খবর নিচ্ছি। আমি বিষয়টি জানিও না।’
আইয়ুব নবী ফরহাদ বলেন, ‘ফেনীর সোনাগাজীতে যতগুলো ষড়যন্ত্রমূলক মামলা হয়, সবগুলোতেই আমাকে আসামি করা হয়। আমি আওয়ামী লীগের একজন নিবেদিত কর্মী।’
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি সাইফুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’