নেত্রকোণার খালিয়াজুরী উপজেলার আমানিপুর গ্রামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে।
গৃহবধূর স্বজনদের অভিযোগ, নির্বাচনি বিরোধের জেরে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকরা তাকে হত্যা করেছে। এ কারণে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
খালিয়াজুরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান মরদেহ মর্গে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গৃহবধূর নাম মারিয়া আক্তার। ১৯ বছর বয়সী মারিয়া আমানিপুর গ্রামের আমির হামজার স্ত্রী। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে খালিয়াজুরী থানা পুলিশ শ্বশুরবাড়ির শোবার ঘরের বিছানা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
স্থানীয়রা জানান, মারিয়ার বাবার বাড়িও আমানিপুর গ্রামে। তার শাশুড়ি সাজুবান বেগম এবং তার ভাবি আফিয়া আক্তার গত ৩১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে খালিয়াজুরী সদর ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের মেম্বার পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। একই আসনে নির্বাচন করাকে কেন্দ্র করে ওই দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। নির্বাচনে দুজনই পরাজিত হন।
মারিয়ার ভাই রুবেল মিয়া বলেন, ‘নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তারা আগে থেকেই আমাদের বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিচ্ছিল। এমনকি আমার বোনকেও অত্যাচার-নির্যাতন করছিল। তাই আমাদের ধারণা, তারা মারিয়াকে হত্যা করে ঘুমন্ত অবস্থায় মারা গেছে বলে প্রচার করছে। এ কারণেই আমরা পুলিশের কাছে গেছি।’
খালিয়াজুরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি সন্দেহজনক হওয়ায় আমরা মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছি। এ ছাড়া এ ব্যাপারে একটি অপমৃত্যু মামলা করেছি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’