বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পেট্রল পাম্প ধর্মঘট: পাল্টাপাল্টি অবস্থানে দুই পক্ষ

  •    
  • ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৭:৪৫

সংগঠনটির মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মিজানুর রহমান রতন বলেন, ‘আমরা দাবি বাস্তবায়নে হরতাল কিংবা ধর্মঘটে কখনই যেতে চাইনি। আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে চেয়েছি।’

জ্বালানি তেল বিক্রিতে সাড়ে ৭ শতাংশ কমিশনসহ ছয় দফা দাবি মানা না হলে ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশের সব ডিপোর জ্বালানি তেল উত্তোলন বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স ডিস্ট্রিবিউটার্স এজেন্টস অ্যান্ড পেট্রল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের একাংশ। তবে এই একাংশের কোনো ভিত্তি নেই বলে দাবি করেছে অ্যাসোসিয়েশনটির আরেক অংশ।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে কর্মসূচির ঘোষণা দেন অ্যাসোসিয়েশনটির মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মিজানুর রহমান রতন।

এদিকে তেল উত্তোলন বন্ধ ঘোষণার হুমকি দেয়া সংগঠনটির কোনো ভিত্তি নেই দাবি করেছে অ্যাসোসিয়েশনটির আরেক অংশ।

তাদের করা সংবাদ সম্মেলনকে ‘অবৈধ ও বেআইনি’ আখ্যা দিয়েছেন সংঠনটির এই অংশের সভাপতি মো. নাজমুল হক।

সংবাদ সম্মেলনে এসে সংগঠনটির মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মিজানুর রহমান রতন বলেন, ‘আমরা দাবি বাস্তবায়নে হরতাল কিংবা ধর্মঘটে কখনই যেতে চাইনি। আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে চেয়েছি। তিন বছর ধরে দাবি নিয়ে অনেক চিঠি দিয়েছি ও আলোচনা করেছি। অথচ বৈঠক হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু দাবি বাস্তবায়ন করা হয়নি।’

অ্যাসোসিয়েশনের মতামতকে উপেক্ষা করে একক সিদ্ধান্তে সরকার ডিজেলের বিক্রি কমিশন ২০ পয়সা করা তেল ব্যবসায়ীদের আশাহত করেছে বলেও দাবি তার।

ছয় দফা দাবির মধ্যে আছে- জ্বালানি তেল বিক্রির প্রচলিত কমিশন কমপক্ষে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ করা, জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা কমিশন এজেন্ট গেজেট আকারে প্রকাশ ও সড়ক ও জনপথ বিভাগের পেট্রল পাম্পের প্রবেশদ্বারের ভূমির জন্য ইজারা নেয়ার প্রথা বাতিল করতে হবে।

এ ছাড়া ট্রেড লাইসেন্স ও বিস্ফোরক লাইসেন্স ব্যতীত অন্য দপ্তর বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক লাইসেন্স নেয়ার সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানানো হয়েছে।

মালিকদের প্রিমিয়াম পরিশোধসাপেক্ষে ট্যাংক-লরি শ্রমিকদের ৫ লাখ টাকা দুর্ঘটনা বিমা প্রথা চালুর জন্য বিমা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়ার দাবি জানানো হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি মোতাবেক সব জ্বালানি ডিপোসংলগ্ন ট্যাংক-লরি শ্রমিকদের জন্য পর্যাপ্ত শৌচাগার ও বিশ্রামাগার নিশ্চিত করারও দাবি জানানো হয়েছে।

তবে এমন ঘোষণার কিছুক্ষণ পরই সংবাদ সম্মেলনের বিরোধিতা করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে নাজমুল হকের নেতৃত্বাধীন আরেক অংশ।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘যারা সংবাদ সম্মেলন করেছেন তারা এই সংগঠনের কেউ নন। সংবাদ সম্মেলনে যিনি সমিতির সভাপতি হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন (সাজ্জাদুল করিম কাবুল), তিনি তেলের অবৈধ মজুত ও পাচারসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের দায়ে ২০০৪ সালে অ্যাসোসিয়েশন থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন।’

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেয়া মিজানুর রহমান রতন সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘অনিয়মতান্ত্রিকভাবে ধর্মঘট আহ্বান করে সংগঠনকে হেয় করার দায়ে ২০১৯ সালের ১৮ মার্চ সংগঠন থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়।’

এতে আরও বলা হয়, ‘আমাদের সংগঠন থেকে ইতোমধ্যে সরকারের কাছে তেলের কমিশন বৃদ্ধিসহ অন্য দাবি পূরণের আহ্বান জানিয়ে আবেদন করেছি। আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান প্রত্যাশা করি। আলোচনা ব্যর্থ হলে আন্দোলন বা কর্মসূচির চিন্তা করা হবে। সরকারের সঙ্গে কোনো আলোচনায় না গিয়ে পরিবহন ধর্মঘট করে জনগণ ও সরকারকে জিম্মি করার পক্ষপাতী আমরা নই।’

এ বিভাগের আরো খবর