বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কাদের মোল্লা, সাঈদীর বিচার সঠিক হয়নি: জাফরুল্লাহ

  •    
  • ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৭:৪০

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতার দাবি, কাদের মোল্লা মুক্তিযুদ্ধের সময় ছাত্র ইউনিয়ন কর্মী ছিলেন। তিনি বলেন, ‘এখনও মতিয়া চৌধুরী, নাহিদ (নুরুল ইসলাম নাহিদ) বেঁচে আছেন। তাদেরকে সাক্ষী হিসেবে চেয়েছিলেন। কিন্তু বিচারক তাদেরকে ডাকেনি। বঙ্গবন্ধুর সময়ে তিনি (আব্দুল কাদের) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের সদস্য ছিলেন। এ রকম একজন ব্যক্তিকে বিচার না করে শুধু জোয়ারের পানিতে নৌকা ভাসিয়ে ফাঁসি দেয়া ঠিক হয়নি।’

মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লা এবং দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিচার সঠিক হয়নি বলে দাবি করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চেয়ে বিচারকদের দায় বেশি বলেছেন তিনি।

রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে বুধবার রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘কিছু কিছু ভালো কাজ’ করেছেন বলেও মনে করেন জাফরুল্লাহ। এর একটি মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার বলে উল্লেখ করেন তিনি।

গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, ‘কিন্তু এখানে দুইটা কাজ ভুল করেছেন (শেখ হাসিনা)। একটা হল আব্দুল কাদের মোল্লা, আরেকটা আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর এই দুইজনের বিচারটা সঠিক হয়নি। এ জন্য আপনি যতটা দায়ী তার চেয়ে বিচারকরা বেশি দায়ী।’

কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এই রায়ের প্রতিবাদে সারাদেশে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে উঠে যা গণজাগরণ নামে পরিচিতি পায়।

আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইনে রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের সুযোগ ছিল না। গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনের পর আইন সংশোধন করে এই সুযোগ তৈরি করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করার পর উচ্চ আদালত জামায়াত নেতাকে প্রাণদণ্ড দেয়।

জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনায় বক্তব্য রাখছেন গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী

কাদের মোল্লা মুক্তিযুদ্ধের সময় ছাত্র ইউনিয়ন কর্মী ছিলেন দাবি করে জাফরুল্লাহ বলেন, ‘এখনও মতিয়া চৌধুরী, নাহিদ (নুরুল ইসলাম নাহিদ) বেঁচে আছেন। তাদেরকে সাক্ষী হিসেবে চেয়েছিলেন। কিন্তু বিচারক তাদেরকে ডাকেনি। বঙ্গবন্ধুর সময়ে তিনি (আব্দুল কাদের) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের সদস্য ছিলেন। এ রকম একজন ব্যক্তিকে বিচার না করে শুধু জোয়ারের পানিতে নৌকা ভাসিয়ে ফাঁসি দেয়া ঠিক হয়নি।’

বিচার নিয়ে প্রশ্ন তুললেও জামায়াত নেতা সাঈদী নিজের পছন্দের মানুষ নয় বলে জানান জাফরুল্লাহ। বলেন, ‘দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী আমর প্রিয় মানুষ না। অভিযোগ করা হয়েছে, হুমায়ূন আহমেদের বাবা পুলিশ অফিসারকে হত্যা করেছেন তিনি। কিন্তু হুমায়ূন আহমেদের মা একটা বই লিখেছেন। তিনি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে অভিযুক্ত করেন নাই। সুতরাং তিনি এখনও জেলে আছেন। এটা খুবই খারাপ কাজ।’

কাদের মোল্লার ক্ষেত্রে যা ঘটেছিল, সাঈদীর ক্ষেত্রে ঘটেছে ঠিক তার বিপরীত ঘটনা। ট্রাইব্যুনাল এই জামায়াত নেতাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়, যা পাল্টে দেয় আপিল বিভাগ। সর্বোচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত- সাঈদীকে কারাগারে থাকতে হবে আমৃত্যু।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে আটকে রাখা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন জাফরুল্লাহ। বলেন, ‘এটাও ঠিক না। শুধু তাই নয় আলেম-ওলামা, মমিনুল হক বাদে যাদেরকে আটক করে রেখেছেন তারাও নির্দোষ।’

আলেমদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আজ আলেম সমাজরা রাস্তায় নামেন না। তারা যদি রাস্তায় নামেন তাহলে আমিও তাদের সঙ্গে থাকব।’

ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপির) চেয়ারম্যান কে এম আবু তাহেরের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহীম, গণফোরামের মহাসচিব শুভ্রত চৌধুরী, গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নূরুল হক নূর।

এ বিভাগের আরো খবর