বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভাঙচুরের মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান কারাগারে

  •    
  • ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৬:১৬

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) ভুবন চন্দ্র দাস বলেন, ‘দ্রুত বিচার আইনে করা মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদনে চেয়ারম্যানকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তিনি আদালতে হাজির না হয়ে পলাতক ছিলেন। আজ আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে তিনি জামিন আবেদন করেছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষের হয়ে আমি জামিনের বিরোধিতা করেছি। আদালত তার জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।’

বরগুনায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের প্রচারে নৌকার প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা, মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলায় এক ইউপি চেয়ারম্যানকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. নাহিদ হোসেন বুধবার দুপুর ১২টার দিকে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

কারাগারে পাঠানো মোশাররফ হোসেন সদর উপজেলার আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে এ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি।

তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল আদালত।

নিউজবাংলাকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) ভুবন চন্দ্র দাস এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার বরাতে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, গত বছরের ১২ জুন দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনের প্রচারে আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের পূর্ব কেওড়াবুনিয়া গ্রামে যান নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী এম মজিবুল হক কিসলুর সমর্থকরা। সেখানে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মোশাররফ হোসেনের সমর্থকরা তাদের ওপর হামলা চালান।

হামলা চালিয়ে ১৪টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর, একটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ ও মজনু নামের এক কর্মীকে কুপিয়ে জখম করা হয়।

এ ঘটনায় নৌকার প্রার্থী মজিবুল হক ওই বছরের ১৩ জুন সদর থানায় ১৩২ জনকে আসামি করে মামলা করেন। ১৪ জুলাই পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল করে।

পিপি ভুবন চন্দ্র দাস জানান, মামলার পর চেয়ারম্যান মোশাররফ আদালতে হাজির হননি। মঙ্গলবার মামলার হাজিরার দিনও হাজির না হওয়ায় আদালত চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

আজ বুধবার সকালে আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন আবেদন করেন। বিচারক জামিন বাতিল করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

তিনি বলেন, ‘দ্রুত বিচার আইনে করা মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদনে চেয়ারম্যানকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তিনি আদালতে হাজির না হয়ে পলাতক ছিলেন। আজ আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে তিনি জামিন আবেদন করেছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষের হয়ে আমি জামিনের বিরোধিতা করেছি। আদালত তার জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।’

এদিকে চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেনের আইনজীবী মজিবুর রহমান বলেন, ‘এটি মিথ্যা মামলা। আমরা উচ্চ আদালতে যাব।’

এ বিভাগের আরো খবর