দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট নিয়োগ করেছে কি করেনি, তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের একাধিক নেতা প্রশ্ন তুলেছেন লবিস্ট নিয়োগে ব্যয় হওয়া টাকার উৎস নিয়ে।
স্বাভাবিকভাবেই আলোচনায় উঠে এসেছে রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপির আয়-ব্যয়ের হিসাবও। আইন অনুযায়ী, নিবন্ধিত প্রত্যেক রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রতি বছরের জুলাইয়ে দলীয় বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিতে হয়। এ অবস্থায় দলটি নির্দেশিত সময়ে আয়-ব্যয়ের যে হিসাব দিয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে আগামীকাল বৃহস্পতিবার কমিশন বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
যুক্তরাষ্ট্রে বিএনপির লবিস্ট নিয়োগের বিষয়টি গত ১৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে সামনে নিয়ে আসেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। তিনি এ বিষয়ে কমিশনে একটি চিঠি দিয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতেই বৃহস্পতিবারের কমিশন সভায় বিষয়টি উপস্থাপন হচ্ছে।
নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিএনপি যে লবিস্ট নিয়োগ করছে, সে বিষয়ে আমাদের কোনো আর্থিক হিসাব দিয়েছে কি না তা জানতে চেয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দেয়া একটি চিঠি আমরা পেয়েছি। মূলত রাজনৈতিক দলগুলো যে আয়-ব্যয়ের হিসাব দেয়, সেখানে এ বিষয়টির উল্লেখ আছে কি না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।’
ইসির অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘বিষয়টি কমিশনে উঠছে এবং আয়-ব্যয়ের হিসাব খতিয়ে দেখা হবে। আর্থিক অসংগতি মিললে কী ব্যবস্থা নেয়া হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সেটা কমিশন দেখবে। সে জন্য কমিশন মিটিং দেয়া হয়েছে। তথ্য গোপনের কোনো বিষয় ঘটে থাকলে কমিশন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।’
কে এম নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে এ বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি। মেয়াদের শেষ সময়ে এসে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে বৃহস্পতিবার কমিশনের ৯৩তম সভা বসতে যাচ্ছে।
ইসির উপসচিব এনামুল হক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে দেখা যায়, বিএনপির আয়-ব্যয়ের হিসাব ছাড়াও বৃহস্পতিবারের কমিশন সভার আলোচ্যসূচিতে আরও বেশ কিছু বিষয় রয়েছে। সেসব হলো- বীর মুক্তিযোদ্ধা খচিত স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র হস্তান্তর, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২-এর বাংলা পাঠ, জাতীয় সংসদের নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইনসংবলিত বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান আয়োজন এবং ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটদানে সমস্যা ও সমাধানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ।