মতিঝিল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় শিশুবক্তা হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলাম মাদানীসহ দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ২২ ফেব্রুয়ারি তারিখ ঠিক করেছে আদালত।
ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন বুধবার তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে শুনানির জন্য এই তারিখ ঠিক করেছেন।
মামলার আরেক আসামি হলেন-মাহমুদুল ইসলাম মুতর্জা।
শুনানির সময় মাদানীকে কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। জামিনে থাকা মাহমুদুলও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
মাদানীর পক্ষে এদিন তার আইনজীবী শোহেল মো. ফজলে রাব্বী জামিন আবেদন করেন। আর মাহমুদুলের স্থায়ী জামিন চান তার আইনজীবী পাপিয়া।
রাষ্ট্রপক্ষে স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর নজরুল ইসলাম শামীম জামিনের বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে মাদানীর জামিন আবেদন নাকচ করে মাহমুদুলের স্থায়ী জামিন দেয় আদালত।
২০২১ সালের ৮ এপ্রিল রাজধানীর ধানমন্ডির ১৫ নম্বর মিতালী সড়কের বাসিন্দা সৈয়দ আদনান হোসেন রফিকুল মাদানীর বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা রাষ্ট্র, সরকার, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অবমাননা ও মানহানিকর বক্তব্য দেয়। এই বক্তব্যের মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা অবনতি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির আশঙ্কা তৈরি হয়।
এই মামলায় ২০২১ সালের শেষের দিকে অভিযোগপত্র দেয়া হয়। এরপর গত ১৬ জানুয়ারি মামলাটি পরবর্তী বিচারের জন্য বদলি হয়ে এই ট্রাইব্যুনালে আসে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ২৫ মার্চ বিক্ষোভকালে ঢাকার মতিঝিল এলাকা থেকে রফিকুল ইসলাম মাদানীকে আটক করলেও পরে পরে তাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
এরপর একই বছর ৭ এপ্রিল নেত্রকোনার বাড়ি থেকে রফিকুল মাদানীকে আটক করে র্যাব। আটকের সময় তার কাছ থেকে চারটি মুঠোফোন জব্দ করা হয়।
পরদিন তাকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে র্যাব। এরপর গাছা থানায় করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
সেই থেকে ঢাকা ও গাজীপুরে তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা, নাশকতাসহ বেশ কয়েকটি মামলা হয়।
এর মধ্যে গত ২৬ জানুয়ারি একই বিচারক গাজীপুরের গাছা থানায় র্যাবের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় অভিযোগ গঠন করেন।