বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নগরকান্দায় ধান সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নিয়ে শঙ্কা

  •    
  • ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৪:০১

কৃষক আব্দুল মান্নান মাতুব্বর বলেন, ‘আমরা বাজারে ধান বিক্রি করে যে সুবিধা পাই, গুদামে সেই সুবিধা নেই। গুদামে অনেক কড়াকড়িভাবে ধান নেয়া হয়। বেশি শুকাতে হয়, পরিষ্কার করতে হয়। তা ছাড়া বাজারের চেয়ে গুদামে ধানের দামও কম।’

কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান কেনা শুরু করেছে সরকার। তবে ফরিদপুরের নগরকান্দায় চাষিরা সরকারি গুদামে ধান বিক্রি করতে অনীহা প্রকাশ করেছেন। এতে সরকারের ধান সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

চলতি বছর এই উপজেলায় কৃষকদের কাছ থেকে মোট ৪৩৫ টন ধান সংগ্রহের অনুমতি মিলেছে। ব্যাপক প্রচার চালিয়ে উন্মুক্ত লটারির মাধ্যমে কৃষক বাছাই করা হয়। ৫ নভেম্বর থেকে শুরু হয় ধান সংগ্রহ অভিযান।

প্রতি কেজি ধানের সরকারি মূল্য ধরা হয়েছে ২৭ টাকা। তবে প্রায় তিন মাসে এ উপজেলায় ধান সংগ্রহ হয়েছে মাত্র ৮৫ মেট্রিক টন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সরকারের বেঁধে দেয়া দর অনুসারে এক মণ ধানের দাম ১ হাজার ৮০ টাকা। কিন্তু বাজারে প্রতি মণ ধান ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হা্জার ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

সরকারি আর বাজার মূল্যে ব্যবধান বেশি না। কিন্তু সরকারিভাবে ধান বিক্রি করতে বেশ ঝামেলা পোহাতে হয়। এ জন্য খাদ্যগুদামে ধান বিক্রি করতে অনীহা কৃষকদের।

বিশেষ করে শুকনো ছাড়া গুদামে ধান নেয়া হয় না। ধানের মূল্য পেতেও নানা বিড়ম্বনার শিকার হতে হয় তাদের।

উপজেলার শহীদনগর ইউনিয়নের ঈশ্বরদী গ্রামের কৃষক আব্দুল মান্নান মাতুব্বর বলেন, ‘আমরা বাজারে ধান বিক্রি করে যে সুবিধা পাই, গুদামে সেই সুবিধা নেই। গুদামে অনেক কড়াকড়িভাবে ধান নেয়া হয়। বেশি শুকাতে হয়, পরিষ্কার করতে হয়। তা ছাড়া বাজারের চেয়ে গুদামে ধানের দামও কম।’

তিনি আরও বলেন, ‘সরকারিভাবে ধান বিক্রি করলে দাম নিতে হয় ব্যাংকের মাধ্যমে। সে ক্ষেত্রে চাষিদের ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট থাকতে হয়। অনেক চাষির অ্যাকাউন্টও নেই।’

লস্করদিয়া ইউনিয়নের জুংগরদী গ্রামের ধানচাষি আসাদ মাতুব্বর বলেন, ‘আমরা যেখানে দাম বেশি পাব, সেখানেই বিক্রি করব। সরকারি দামের চেয়ে বাজারে ধানের দাম বেশি, তাই বাজারেই বিক্রি করছি।’

উপজেলা খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা মোহাম্মাদ আজাহার আলী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা ব্যাপক প্রচার চালিয়ে ধান সংগ্রহের কাজ শুরু করি। কিন্তু কৃষকরা আমাদের কাছে ধান বিক্রি করছেন না।’

নগরকান্দা উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা আফজাল হোসেন বলেন, ‘আমরা কৃষকদের বাড়িতে গিয়ে অনুরোধ করেছি। কিন্তু তারা আমাদের কাছে ধান বিক্রি করছেন না। সরকারির চেয়ে বাজারে ধানের মূল্য বেশি থাকায় তারা ধান বিক্রিতে অনীহা প্রকাশ করছেন।’

নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেতী প্রু নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গুদামে ধান সরবরাহ করার জন্য কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।’

এ বিভাগের আরো খবর