বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আগে বাড়িতে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করুন: মন্ত্রী

  •    
  • ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৩:৩৯

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ভোক্তা সচেতনতার পাশাপাশি উৎপাদক ও বিপণনকারীদের দায়িত্ব আরও বেশি। সবাইকে সচেতন হতে হবে। নিরাপদ খাবার খাওয়ার ও খাওয়ানোর স্বদিচ্ছা সবার থাকতে হবে।

সবার আগে যার যার বাড়িতে নিরাপদ খাবার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষে বুধবার রাজধানীর নিউ ইস্কাটনের বিয়াম মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

খাদ্য সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানের আয়োজক বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইউম সরকারসহ অনেকে।

এবার দিবসের মূল প্রতিপাদ্য ধরা হয়েছে ‘সুস্বাস্থ্যের মূলনীতি, নিরাপদ খাদ্য ও স্বাস্থ্যবিধি’।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, ভোক্তা সচেতনতার পাশাপাশি উৎপাদক ও বিপণনকারীদের দায়িত্ব আরও বেশি। সবাইকে সচেতন হতে হবে। নিরাপদ খাবার খাওয়ার ও খাওয়ানোর স্বদিচ্ছা সবার থাকতে হবে।

ওই সময় ধান, গম, মাছ, মাংস, সবজিসহ বিভিন্ন ভোগ্যপণ্যে বাংলাদেশের স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের তথ্য দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত আমরা এক বেলা না খেয়ে থেকেছি। মঙ্গায় মঙ্গায় জীবন গেছে ৭ কোটি পূর্ব পাকিস্তানির। সেই শাসন থেকে মুক্ত করতে মুক্তিযুদ্ধেও ডাক দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার পাশাপাশি সোনার বাংলাদেশ গড়ার, কিন্তু ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে বাংলাদেশকে আবার তলাবিহীন ঝুড়ি বানানো হয়েছে। এরপর দুঃশাসন পেরিয়ে ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় গিয়ে দেশকে আলোর দিশা দেখান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

‘২০০৮ সালে পুনরায় সরকার গঠনের পর একের পর এক ইতিহাস গড়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশ এখন ধান, গম, মাছ, মাংস, সবজিসহ সবকিছুতে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এখন দরকার পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার নিশ্চিত করা। এ জন্য সরকার ২০১৩ সালে আইন করে দিয়েছেন। প্রত্যেক জেলায় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়েছে; ল্যাব করা হয়েছে। আমরা আশা করি, সবার সমন্বিত প্রচেষ্টায় একটি সুশৃঙ্খল ও মেধাবী জাতি গঠনের যুদ্ধে অবশ্যই আমরা জয়ী হব।’

খাদ্যমন্ত্রী করোনাকালে বাংলাদেশের ‘২ লাখ মানুষ না খেয়ে মারা যাবে’ তথ্যের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ‘একটি দল বলেছিল করোনাকালে বাংলাদেশের ২ লাখ মানুষ না খেয়ে মারা যাবে। জোর গলায় বলতে পারি, একজন লোকও না খেয়ে মারা যায়নি। উল্টো সর্বকালের সেরা খাদ্য মজুত রয়েছে। তারাই এখন আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে লবিস্ট নিয়োগ করেছে। এই লবিস্ট নিয়োগকারী দল থেকে সাবধানে থাকতে হবে।’

অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘একটি গোষ্ঠী ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে চক্রান্ত করেও সফল হয়নি। চুয়াত্তর সালে খাদ্যে কৃত্রিম ঘাটতি সৃষ্টি করে সফল হয়নি, পঁচাত্তর সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মুছে ফেলার ষড়যন্ত্রেও সফল হয়নি। তারা এখন আন্তর্জাতিক লবিস্ট নিয়োগ করেছে। তাতেও সফল হতে পারবে না। কারণ বাংলাদেশকে খামচে ধরার জন্য শকুনি প্রবৃত্তি কখনো সফল হয়নি; হবেও না।’

এ বিভাগের আরো খবর