বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মানবতাবিরোধী অপরাধ: আসামির মৃত্যুতে মামলা অকার্যকর ঘোষণা

  •    
  • ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১০:৫৮

মামলার আট আসামির মধ্যে সাখাওয়াত হোসেন ও মো. বিল্লাল হোসেন কারাবন্দি ছিলেন। আপিল বিচারাধীন অবস্থায় ২০১৮ সালে বিল্লাল এবং ২০২১ সালে সাখাওয়াত মারা যান। এরপর তাদের মামলা আইন অনুযায়ী অকার্যকর করা হয়।

মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত যশোরের কেশবপুরের রাজাকার কমান্ডার সাখাওয়াত হোসেন এবং আমৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্ত বিল্লাল হোসেন মারা যাওয়ায় তাদের মামলা অকার্যকর ঘোষণা করেছে আপিল বিভাগ।

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীসহ ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ বুধবার এ আদেশ দেয়।

আইন অনুযায়ী, বিচারাধীন অবস্থায় কোনো আসামি মারা গেলে তার মামলাটি অ্যাবেটেড বা অকার্যকর ঘোষণা করা হয়।

মানবতাবিরোধী অপরাধে সাখাওয়াত হোসেনকে ২০১৬ সালের ১০ আগস্ট মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।

একই মামলার আট আসামির মধ্যে কেশবপুরের অন্য সাত রাজাকারকে দেয়া হয় আমৃত্যু কারাদণ্ড।

মামলাটিতে বিল্লাল হোসেন ছাড়া অন্য আমৃত্যু কারাদণ্ড পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন মো. ইব্রাহিম হোসেন, শেখ মোহাম্মদ মুজিবর রহমান, মো. আব্দুল আজিজ সরদার, মো. আজিজ সরদার, কাজী ওয়াহেদুল ইসলাম ও মো. আব্দুল খালেক মোড়ল।

মামলার আট আসামির মধ্যে সাখাওয়াত হোসেন ও মো. বিল্লাল হোসেন কারাবন্দি ছিলেন। আপিল বিচারাধীন অবস্থায় ২০১৮ সালে বিল্লাল এবং ২০২১ সালে সাখাওয়াত মারা যান।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, একাত্তরের ইসলামী ছাত্রসংঘের নেতা সাখাওয়াত হোসেন ছিলেন মুক্তিযুদ্ধে যশোরের কেশবপুরের রাজাকার বাহিনীর কমান্ডার। অন্য আসামিরা ছিলেন এ বাহিনীর সদস্য।

সাখাওয়াতের নেতৃত্বে কেশবপুরের চিংড়া, বগা, ভাণ্ডারখোলা, নেহালপুর, হিজলডাঙ্গা, গৌরীঘোনা ও ভাল্লুকঘরসহ বিভিন্ন এলাকায় হত্যা, গণহত্যা, অপহরণ, আটক, নির্যাতন, বাড়িঘরে হামলা, লুটপাট অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধ করেন তারা। তাদের অত্যাচার-নির্যাতনে এলাকার সংখ্যালঘুরাও দেশত্যাগে বাধ্য হন।

১৯৯১ সালে যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে জামায়াত থেকে সংসদ নির্বাচত হন। সংসদ সদস্য থাকাবস্থায়ই ১৯৯৫ সালে তিনি জামায়াত ছেড়ে বিএনপিতে যোগ দেন। বিএনপির ধর্মবিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নে সংসদ সদস্য হন তিনি। ১৯৯৬ সালের ষষ্ঠ সংসদ নির্বাচনে বিএনপির পক্ষে নির্বাচন করে পরাজিত হন সাখাওয়াত।

এরপর ২০০১ সালের সপ্তম সংসদ নির্বাচনে বিএনপির সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে পরাজিত হন। পরে বিএনপি তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে। এরপর ২০০৬ সালে বিকল্পধারায় যোগ দেন। পরে এলডিপি ও পিডিপি হয়ে তিনি এরশাদ নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন। সর্বশেষ তিনি জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

এ বিভাগের আরো খবর