রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ট্রাকচাপায় ছাত্র নিহতের ঘটনায় দাবি মানার আশ্বাসে আন্দোলন সাময়িক স্থগিত করেছেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. লিয়াকত আলীকেও প্রত্যাহার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে উপাচার্য বাসভবনের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সামনে প্রক্টরকে প্রত্যাহার ও তাদের দেয়া দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দেন উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার। সে সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো-
- নিহতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ১০ কোটি টাকা দিতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে
- ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করা
- প্রক্টর ও প্রক্টরিয়াল বডি অপসারণ
- চালকসহ জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার করা
- ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশ বন্ধ করা এবং
- ক্যাম্পাসের রাস্তা-ঘাট মেরামত ও পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা।
শহীদ হবিবুর রহমান হলের সামনে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে একটি মোটরসাইকেলকে চাপা দেয় পাথরবাহী একটি ট্রাক। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের গ্রাফিক ডিজাইন, কারুশিল্প ও শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মাহমুদ হাবিব হিমেল। বাইকে থাকা অন্য দুজন আহত হন।
এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে থাকা পাঁচ ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেয়। বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠে ক্যাম্পাস। শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের সামনে গিয়ে রাজশাহী-ঢাকা সড়ক অবরোধ করেন। পরে তারা দাবি নিয়ে উপাচার্যের বাসার সামনে অবস্থান নেন।
পরিস্থিতি সামলাতে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করলে শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করে। বিক্ষোভের মুখে রাতেই ক্যাম্পাস থেকে অতিরিক্ত পুলিশ প্রত্যাহার করে নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
নিহত হিমেলের বাড়ি বগুড়ার শেরপুরে। বুধবার সকালে নিহতের মরদেহ ক্যাম্পাসে আনা হবে জানাজার জন্য। পরে দাফনের জন্য পাঠানো হবে নিহতের নানাবাড়ি নাটোরে।
অবশ্য সকাল ১০টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের ছয়টি দাবি লিখিতভাবে পূরণের প্রতিশ্রুতি না দিলে আবারও শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামবেন বলে রাতেই ঘোষণা দিয়েছেন তারা।