সব মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রণালয়ের অধীনের সংস্থাগুলোর বার্ষিক বাজেটের ১০ শতাংশ সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর সেবা বা আইটিইএস কেনায় বরাদ্দের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস- বেসিস।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের সঙ্গে মঙ্গলবার বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদের নেতৃত্বে নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এই দাবি জানানো হয়।
বৈঠকে বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ বলেন, বেসিস অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। বেসিস ফিনটেক, এডুটেক, হেলথটেক, ই-কমার্সের পাশাপাশি সরকারের প্রায় সব ই-গভর্নেন্স প্রকল্প বাস্তবায়নে দেশের অভ্যন্তরে এবং সরকারের ৫ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে প্রশংসনীয় অবদান রেখে চলেছে।
তিনি বলেন, মন্ত্রণালয় ও এর অধীন সংস্থার অবকাঠামো উন্নয়নে অধিকাংশ ব্যয় করে থাকে। তবে সরকারের ২০৪১ রূপকল্প বাস্তবায়নে সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর সেবাকে অগ্রাধিকার দেবার বিকল্প নেই। তাই বার্ষিক বাজেটের অন্তত ১০ শতাংশ সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর সেবা কেনায় বরাদ্দ থাকা এখন সময়ের দাবি।
বেসিস সভাপতি আরও বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তি খাত দেশের উন্নয়নের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। সম্প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তথ্যপ্রযুক্তিকে বর্ষপণ্য হিসেবে ঘোষণা করেছেন। বেসিস এ ব্যাপারে একটি সুবিস্তৃত প্রস্তাবনা ও সুপারিশ তৈরি করছে, যা শিগগির প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়ে দেয়া হবে।’
পরিকল্পনামন্ত্রীর সঙ্গে সভায় বিশেষায়িত আরএফপি ডকুমেন্ট চূড়ান্ত করা, সফটওয়্যারের বার্ষিক রক্ষণাবেক্ষণ বাজেট নিশ্চিত করা, স্থানীয় সফটওয়্যার ও আইটিইএস প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে ক্রয় দলিলে অযথা কঠোর শর্ত আরোপ না করা এবং সরকারের সফটওয়্যার ও আইটিইএস কেনায় নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দেয়াসহ যেসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে তার বাস্তবায়নে একটি ওয়ার্কিং কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বেসিস নেতাদের এসব প্রস্তাব ও দাবি শোনেন এবং তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে যৌক্তিক দাবি ও সুপারিশ বাস্তবায়নে সম্ভব সব রকম সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় আয়োজিত বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বেসিসের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি সামিরা জুবেরি হিমিকা, সহসভাপতি (প্রশাসন) আবু দাউদ খান, সহসভাপতি (অর্থ) ফাহিম আহমেদ ও সচিব হাশিম আহম্মদ।