রাজধানীর ভাটারায় বান্ধবীর বাসায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে শাহ্ সেজান নামের এক তরুণ। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে ভাটারা থানার নতুনবাজার নুরেরচালায় ৫৩/৩ নম্বর বাসায় এই ঘটনা ঘটেছে।
অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক নাজমুল আলম শাহ্ সেজানকে (২১) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
বান্ধবীর মা নুরুন্নাহার বলেন, ‘সেজান ও আমার মেয়ে মৌ বিভিন্ন প্রোগ্রামে ইভেন্ট করত। সেজান বিকেলের দিকে আমাদের বাসায় আসে। একপর্যায়ে ড্রইংরুমে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গামছা প্যাঁচিয়ে ফাঁস দেয়। ওই সময় আমার মেয়ে পাশের ঘরে ঘুমিয়ে ছিল। পরে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
‘পারিবারিক বিষয় নিয়ে বাবা-মায়ের সঙ্গে প্রায় সময় কথা-কাটাকাটির কারণে সে আত্মহত্যা করেছে বলে জানতে পেরেছি। এ নিয়ে আর কিছু আমরা বলতে পারব না।’
সেজানের বাড়ি ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ থানার কাসেম গ্রামে। বাবার নাম সাইফুল আলম ফকির। তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার বড়। ঢাকায় ভাটারা এলাকার কালাচাঁদপুরে থাকতেন।
সেজানের বাবা সাইফুল আলম ফকির বলেন, ‘ঢাকা মেডিক্যাল পুলিশ ক্যাম্প থেকে খবর পেয়ে পাগলের মতো ছুটে এসেছি। রাত সাড়ে ৯টায় এসে দেখি আমার ছেলের নিথর দেহ মর্গের সামনে পড়ে আছে। গত সপ্তাহে গুলশান ইউনাইটেড ইউনিভার্সিটিতে বিবিএতে আমার ছেলেকে ভর্তি করি। সে কোন প্রোগ্রাম করে আমার জানা নাই। শুধু এটুকু জানি, গতকাল রাতে আমার ছেলে তার বান্ধবী মৌ ইসলামের বাসায় ছিল। আমার ছেলে ফাঁস দিতে পারে না। তাকে বুকে চাপ দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। আমি হত্যা মামলা দায়ের করব।’
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি ভাটারা থানাকে অবহিত করা হয়েছে।