বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

টিউমারও হয়েছিল খালেদার

  •    
  • ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ২২:০৭

আড়াই মাসের বেশি সময় হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে মঙ্গলবার গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় নিয়ে যাওয়া হয় ৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়াকে।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শরীরে টিউমার অপসারণে হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করা হলেও এতদিন তা আড়াল রেখেছিলেন তার চিকিৎসকরা।

রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় এভার কেয়ার হাসপাতালে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিএনপি নেত্রীর স্বাস্থ্যের সর্বশেষ অবস্থা জানানোর সময় টিউমারের প্রসঙ্গটি জানান তার চিকিৎসক ফখরুদ্দীন মোহাম্মদ সিদ্দিকী।

আড়াই মাসের বেশি সময় হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে এদিনই গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় নিয়ে যাওয়া হয় ৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়াকে।

সংবাদ সম্মেলনে খালেদার চিকিৎসক ফখরুদ্দীন মোহাম্মদ সিদ্দিকী বলেন, ‘উনি (খালেদা জিয়া) অক্টোবরে দ্বিতীয়বারের মতো হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। সে সময় তার শরীর স্ক্যান করে একটা অস্বাভাবিকতা (লাম) পাওয়া গিয়েছিল। বায়োপসি করা হয়েছিল। সেই রিপোর্টটা টিউমার হিসেবে কনফার্ম হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘সেটা প্রাথমিক অবস্থায় (আর্লি স্টেজ) থাকাতে মেডিক্যাল বোর্ড ২৫ অক্টোবর উনার একটা সার্জারি করে টিউমারটাকে রিমুভ করা হয়েছে।’

টিউমারের জেনেটিক স্টাডি করতে হয় জানিয়ে এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘অ্যামিউনো হিস্ট্রো ক্যামেস্ট্রির মতো টেকনোলজি আছে, সেগুলো অ্যাপ্লাই করে সেই টিউমারের হিস্টোরোলজিক্যাল ক্যারেক্টারিস্টিক আইডেন্টিফাই করে সেই অনুপাতে আধুনিক চিকিৎসা দেয়া দরকার হয়।’

বিষয়টি এতদিন না জানানোর কারণ ব্যাখ্যা করেন ফখরুদ্দীন মোহাম্মদ সিদ্দিকী বলেন, ‘উনার (খালেদা জিয়া) জীবন নিয়ে (লাইফ থ্রেটেনিং কন্ডিশন) নিয়ে আমরা এতটাই ব্যস্ত ছিলাম যে, আপনাদেরকে জানানো হয়নি। কিন্তু সেই চিকিৎসাটা এখন আর যেভাবে হওয়া দরকার সেভাবে হচ্ছে না। সেই চিকিৎসাটা একটা স্থির অবস্থায় আছে।’

শারিরীক সমস্যা নিয়ে গত বছরের ১৩ নভেম্বর রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। ৮১ দিনের মাথায় হাসপাতাল ছেড়ে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় পৌঁছেছেন তিনি। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে খালেদাকে বহনকারী গাড়িটি ফিরোজায় পৌঁছেছে বলে নিশ্চিত করেছেন বিএনপির প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান।

প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী আদেশে দুর্নীতির দুই মামলার দণ্ড স্থগিত হওয়ার পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ বিএনপি নেত্রী ৬ মাসের জন্য মুক্তি পান। সে সময় দুটি শর্তের কথা বলা হয় সরকারের পক্ষ থেকে। এগুলো হলো বিএনপি নেত্রী চিকিৎসা নেবেন তার বাসায় এবং তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না।

তবে গত এপ্রিলে বিএনপি নেত্রী করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর প্রথম শর্তটি আর কার্যকর থাকেনি। তিনি চারবার এভারকেয়ারে যান এবং তিনবার সেখানে ভর্তি হন। তবে স্বজনদের আবেদন ও তার দলের নানা কর্মসূচিতেও সরকার তাকে বিদেশে নেয়ার অনুমতি দেয়নি।

এ বিভাগের আরো খবর