বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খাবারের দাম নিয়ে ভোগান্তিতে জাবি শিক্ষার্থীরা

  •    
  • ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ২২:০২

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী রবিউল সানি বলেন, ‘খাবার শেষে বিল দেয়ার সময় এক দোকানি জানায় ৯০ টাকা বিল হয়েছে। পরে আমি ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থী পরিচয় দিলে আবার হিসাব করে বিল হয়ে যায় ৬৫ টাকা। এটি আমাদের জন্য হয়রানি।’

নির্ধারিত মূল্য তালিকা না থাকায় খাবারের দাম নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগ, প্রাশাসনিক নজরদারি না থাকায় নিজেদের ইচ্ছেমতো দাম রাখছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দোকানিরা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকায় খাবারের দোকানগুলোর এক অংশে এক প্লেট ভাতের দাম রাখা হচ্ছে ৬ টাকা, অন্য অংশে ১০ টাকা।

দাম নিয়ে তাই বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ছেন শিক্ষার্থীরা। এতে বিভিন্ন সময়ে দোকানিদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়াচ্ছেন তারা।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে বটতলার খাবারের দোকানগুলোতে মূল্যতালিকা রাখা বাধ্যতামূলক করা হলেও তা মানছেন না দোকানিরা। তাদের দাবি, তালিকাটি কয়েক বছর আগের। তখনকার খাবারের দাম আর এখনকার দাম এক নয়। আগের তালিকা অনুযায়ী খাবারের দাম রাখতে গেলে তাই লোকসান গুনতে হবে।

শিক্ষার্থীরা জানান, হলের ডাইনিং ও ক্যানটিনগুলোতে খাবারের পদ স্বল্পতা ও মানের কারণে তাদের অনেকেই বাইরের দোকানগুলোতে খেতে যান। এ ছাড়া ক্যাম্পাসে পরিচিত কেউ ঘুরতে এলে সাধারণত বাইরের দোকানগুলোই তাদের ভরসা।

বটতলা ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালের ডেইরি গেট ও জয় বাংলা গেট এলাকায় থাকা দোকানগুলোর খাবারের দাম নিয়েও অসন্তোষ আছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী রবিউল সানি বলেন, ‘খাবার শেষে বিল দেয়ার সময় এক দোকানি জানান ৯০ টাকা বিল হয়েছে। পরে আমি ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থী পরিচয় দিলে আবার হিসাব করে বিল হয়ে যায় ৬৫ টাকা। এটি আমাদের জন্য হয়রানি।’

সাভার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরতে আসা শান্তা ইসলাম বলেন, ‘খাবারের মূল্য তালিকা না থাকায় টাকা দিতে অসুবিধায় পড়েছি। তারা নিজেদের ইচ্ছেমতো বিল করেছে। আমার কাছে মনে হয়েছে তারা খাবারের দাম অনেক বেশি রেখেছে।’

তবে দাম বেশি রাখার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বটতলার দোকানিরা। তাদের একজন ইমাম হোসেন বলেন, ‘বটতলার অন্যান্য দোকানে যা দাম রাখে, আমরাও তা রাখার চেষ্টা করি।’

তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ইতিমধ্যেই দোকানমালিকদের সঙ্গে বসেছে খাবারের দাম ঠিক করার জন্য। তবে এখনও মূল্য তালিকাটি দেয়া হয়নি।

বটতলার একটি খাবারের দোকান

বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলার ৩৫টি দোকানের খাবারের মান ও দাম নিয়ন্ত্রণে কাজ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি হল কর্তৃপক্ষ। অন্যান্য হলের সামনে যেসব খাবারের দোকান রয়েছে সেগুলোর মান ও দাম নিয়ন্ত্রণে স্ব স্ব হল কর্তৃপক্ষ কাজ করে।

এ ছাড়া ‘কনজ্যুমার ইয়্যুথ’ নামে শিক্ষার্থীদের একটি সংগঠন বিশ্ববিদ্যালজুড়ে বিভিন্ন দোকানে খাবারের মান, পরিবেশ ও মূল্য নির্ধারণে নিয়মিত কাজ করে।

এ বিষয়ে কনজ্যুমার ইয়্যুথের সভাপতি কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মতিউর রহমান মুন্না বলেন, ‘আমরা খাবারের দাম নিয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। তারা শিগগিরই মূল্য তালিকা প্রকাশের আশ্বাস দিয়েছেন।’

মওলানা ভাসানী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক কামরুল হাসান বলেন, ‘দাম ও মান নির্ধারণ নিয়ে একটি কমিটি করা আছে। তারা বিষয়টি দেখছেন।’

বটতলার খাবার হোটেলের মূল্য নির্ধারণ কমিটির দায়িত্বে থাকা আ ফ ম কামালউদ্দিন হলের আবাসিক শিক্ষক মো. ইফতিখার উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ‘বটতলার দোকানিদের নিয়ে বসেছি। খাবারের মূল্যও ঠিক হয়ে গেছে। এখন শুধু ঘোষণা দেয়া বাকি। আমরা শিগগিরই শিক্ষক, সাংবাদিক ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে আলোচনা করে খাবারের মূল্য ঘোষণা করব।’

এ বিভাগের আরো খবর