ষষ্ঠ ধাপে নেত্রকোণার তিনটি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ১০ চেয়ারম্যান প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত এক প্রার্থী আছেন।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।সোমবার ষষ্ঠ ধাপে খালিয়াজুরী উপজেলার খালিয়াজুরী সদর, মেন্দিপুর ও পূর্বধলা উপজেলার ধলামূলগাঁও ইউনিয়নে ভোট হয়।
খালিয়াজুরী সদরে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী গোলাম আবু ইছহাক, মেন্দিপুরে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আবু হাকিম এবং পূর্বধলার ধলামূলগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রেজুয়ানুর রহমান রনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
খালিয়াজুরী সদরে কারও জামানত বাজেয়াপ্ত হচ্ছে না, তবে মেন্দিপুর ও ধলামূলগাঁওয়ে ১০ প্রার্থী জামানত খোয়াচ্ছেন।
মেন্দিপুরে জামানত হারাচ্ছেন আজাহারুল ইসলাম, আবদুল জলিল, পরিতোষ সরকার, এরশাদুল আলম, সাইফুল ইসলাম ও হাইউল মিয়া।
ধলামূলগাঁওয়ে জামানত হারাতে বসা প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছাদেক মিয়া, স্বতন্ত্র মো. রুবেল মিয়া, রহুল আমিন ও শেখ বিজয়।
পূর্বধলা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সই করা বেসরকারি ফলে দেখা গেছে, ধলামূলগাঁওয়ে নৌকার ছাদেক মিয়া ৭৫৪ ভোট পেয়েছেন। ওই ইউনিয়নে বিজয়ী প্রার্থী রেজুয়ানুর পান ৪ হাজার ১৬৪ ভোট।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবদুল লতিফ শেখ বলেন, ‘ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় প্রত্যেক প্রার্থীকে সরকারি কোষাগারে পাঁচ হাজার টাকা করে জামানত রাখতে হয়। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা অনুযায়ী কোনো প্রার্থী ওই ইউনিয়নে প্রদত্ত বৈধ ভোটের আট ভাগের এক ভাগ না পেলে তার জামানতের টাকা ফেরত দেয়া হয় না। তাদের জামানতের টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়।’
ওই ১০ প্রার্থীর কেউ প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের এক ভাগ পাননি।
জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ার কারণ জানতে চাইলে ধলামূলগাঁওয়ের নৌকার প্রার্থী ছাদেক মিয়া বলেন, ‘এ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ১১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এর মধ্যে ৮ জনই বিদ্রোহী। দলের নেতা-কর্মীদের অনেকে বিদ্রোহী প্রার্থীদের পক্ষে অবস্থান নেয়ায় এ পরাজয় হয়েছে।’