বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এবার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ইউনিক আইডি’

  •    
  • ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৯:২৭

প্রফেসর কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, ‘ইউনিক আইডি তৈরির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা শিক্ষাজীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একটি পরিচিতি নম্বর পাবেন। এতে শিক্ষার্থীদের ভর্তিসহ যাবতীয় তথ্য সংরক্ষিত থাকবে। ফলে দেশ-বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ ও চাকরি ক্ষেত্রে সনদ যাচাইয়ে শিক্ষার্থীদের সমস্যায় পড়তে হবে না।’

দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীর ‘ইউনিক আইডি’ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এবার দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে শিক্ষার্থীদের জন্য ‘ইউনিক আইডি’ দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি তৈরি সংক্রান্ত এক কর্মশালায় মঙ্গলবার প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউজিসি চেয়ারম্যান কাজী শহীদুল্লাহ এ আহ্বান জানান।

এর আগে ১৭ জানুয়ারি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীর ইউনিক আইডির ডাটা এন্ট্রির কাজ শুরু হয়।

কর্মশালায় তিনি বলেন, ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি তৈরি সময়োপযোগী ও গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’

ইউনিক আইডিকে শিক্ষার্থীবান্ধব উদ্যোগ হিসেবে আখ্যায়িত করে ইউজিসি চেয়ারম্যান বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে তা দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান জানান।

প্রফেসর কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, ‘ইউনিক আইডি তৈরির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা শিক্ষাজীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একটি পরিচিতি নম্বর পাবেন। এতে শিক্ষার্থীদের ভর্তিসহ যাবতীয় তথ্য সংরক্ষিত থাকবে। ফলে দেশ-বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ ও চাকরি ক্ষেত্রে সনদ যাচাইয়ে শিক্ষার্থীদের সমস্যায় পড়তে হবে না।’

ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দের সভাপতিত্বে কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য দেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক মো. ওমর ফারুখ।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের সহকারী পরিচালক শাহনাজ সুলতানার সঞ্চালনায় কর্মশালায় দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, হেড অব আইটি ও ইউনিক পরিচিতি নম্বরের ফোকাল পার্সনরা অংশ নেন।

কর্মশালায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. শরীফুল ইসলাম ইউনিক আইডির বিস্তারিত বিষয় তুলে ধরেন।

সভাপতির বক্তব্যে ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, ‘১৬ ডিজিটের ইউনিক আইডিতে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষার্থীর সব তথ্য সংরক্ষিত থাকবে। প্রতারণার হাত থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষা করা ও সনদ যাচাই নিশ্চিত করতে ইউজিসি এই উদ্যোগ নিয়েছে। এর ফলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুমোদিত আসনের বিপরীতে ভর্তি শিক্ষার্থীর সংখ্যা জানার পাশাপাশি জাল সনদধারীদের চিহ্নিত করা সহজ হবে।

‘এ উদ্যোগের ফলে শিক্ষার্থীরা সহজে ক্রেডিট ট্রান্সফার করতে পারবে ও সনদের আন্তর্জাতিকীকরণ ও গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে। বাংলাদেশের কোনো প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়কে কালো তালিকাভুক্ত করা বন্ধ করবে অন্য কোনো দেশ।’

তিনি আরও বলেন, ‘ইউনিক আইডির ফলে শিক্ষার্থীদের সব তথ্য মূল সার্ভারের পাশাপাশি ইউজিসি সার্ভারে ও ব্যাকআপ সার্ভারে সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে। ফলে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে গেলে কিংবা দুর্যোগের কারণে কোনো একটি সার্ভারে ত্রুটি দেখা দিলেও তথ্য সুরক্ষিত থাকবে। এতে শিক্ষার্থীদের সনদ যাচাইয়ে কোনো সমস্যা হবে না।’

ইউনিক আইডি কেন

প্রত্যেক শিক্ষার্থীর মৌলিক ও শিক্ষাসংক্রান্ত সব তথ্য এক জায়গায় রাখার জন্য তৈরি করা হচ্ছে ইউনিক আইডি। শিক্ষার্থীর বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হলে এই আইডি জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) রূপান্তরিত হবে।

ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি তৈরির দায়িত্বে আছে বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইজ)। আর প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি তৈরি করছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

কেন শিক্ষার্থীদের জন্য ইউনিক আইডি তৈরি করা হচ্ছে, এমন প্রশ্নে প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক শামসুল আলম বলেন, ‘কোনো শিশু জন্ম নিলে সরকারের স্থানীয় সরকার বিভাগের অফিস অফ রেজিস্ট্রার জেনারেলের আওতায় তার জন্মনিবন্ধন হয়। আর ১৮ বছর পূর্ণ হওয়া সবার জন্য আছে জাতীয় পরিচয়পত্র। কিন্তু যারা প্রাইমারি, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী অর্থাৎ যাদের বয়স ১৮-এর নিচে তারা এই সিস্টেমের বাইরে। তাদের সিস্টেমের মধ্যে আনতেই ইউনিক আইডি তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’

ফরমে যেসব তথ্য দিতে হয়

স্ট্যাবলিশমেন্ট অফ ইন্টিগ্রেটেড এডুকেশনাল ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (আইইআইএমএস) প্রকল্পের আওতায় তৈরি করা চার পৃষ্ঠার ফরমে শিক্ষার্থীদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।

ফরমে শিক্ষার্থীর নাম, জন্মনিবন্ধন নম্বর, জন্মস্থান, জেন্ডার, জাতীয়তা, ধর্ম, অধ্যয়নরত শ্রেণি, রোল নম্বর, বৈবাহিক অবস্থা, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি কিনা (ডিজঅ্যাবিলিটি), রক্তের গ্রুপ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কি না, মা-বাবার নামসহ বেশ কিছু তথ্যের ঘর রয়েছে।

বৈবাহিক অবস্থার অপশন হিসেবে অবিবাহিত, বিবাহিত, বিধবা, বিপত্নীক ছাড়াও স্বামী-স্ত্রী পৃথক বসবাস, তালাকপ্রাপ্ত ও বিবাহবিচ্ছেদের ঘরও রয়েছে ফরমে।

এ বিভাগের আরো খবর