শেরপুরের শ্রীবরদীতে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালাত। আরেক আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মঙ্গলবার দুপুরে এই রায় দেন বিচারক মোহাম্মদ আল-মামুন।
দণ্ড পাওয়া আসামি হলেন আলমগীর হোসেন। তার বাড়ি শ্রীবরদীর বিলভরট গ্রামে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) চন্দন কুমার পাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২০১৬ সালের ৯ মার্চ রাতে স্ত্রী জান্নাত বেগমকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন আলমগীর। সন্দেহ এড়াতে মরদেহ ঘরের আড়ায় ঝুলিয়ে রাখেন। জান্নাত আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রচারণা চালান।
এ ঘটনায় পরদিন শ্রীবরদী থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়। ময়নাতদন্তে জানা যায় হত্যার বিষয়টি।
এরপর জান্নাতের বাবা জামিল মিয়া সে বছরের ৩ মে আলমগীরের নামে হত্যা মামলা করেন। গ্রেপ্তার হন আলমগীর।
আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে আসামি জানান, ভাবি রাবেয়া বেগমের সঙ্গে তার বিয়েবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। তা জেনে ফেলায় রাবেয়ার সহযোগিতায় স্ত্রীকে হত্যা করেন। তার জবানবন্দির পরিপ্রেক্ষিতে গ্রেপ্তার করা হয় রাবেয়াকেও।
শ্রীবরদী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন সে বছরের ৩০ নভেম্বর দুই আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
২১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে জান্নাত হত্যায় আলমগীরকে যাবজ্জীবনের দণ্ড দেয়া হয়। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস দেয়া হয় রাবেয়াকে।