বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বঙ্গবন্ধুকে অবমাননার শাস্তি তার জীবনী পাঠ, বৃক্ষরোপণ

  •    
  • ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৬:০৭

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জানান, সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রবেশন কর্মকর্তা অভিযুক্ত দুই আসামির প্রবেশনের শর্ত মানার বিষয়টি তদারকি করবেন। এ দুই শিক্ষকের ক্ষেত্রে তিন মাস পরপর তাদের শর্ত প্রতিপালন ও অগ্রগতি সম্পর্কে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য প্রবেশন কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার বোয়ালিয়া বৌরতলা দাখিল মাদ্রাসায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকীতে কেকের বদলে পাউরুটি কাটার মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে।

রায়ে মাদ্রাসা সুপার আব্দুস সালাম ও সহকারী শিক্ষক গোলাম কবির দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। তবে আদালত তাদের কারাগারে না পাঠিয়ে পাঁচটি শর্তে প্রবেশন দিয়েছেন।

শর্ত লঙ্ঘন করলে তাদের এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা জরিমানা দিতে হবে। জরিমানার অর্থ অনাদায়ে আরও এক মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড।

মামলার ১১ আসামির মধ্যে ৯ জন বেকসুর খালাস পেয়েছেন।

রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জিয়াউর রহমান মঙ্গলবার দুপুরে আলোচিত এ মামলার রায় দেন।

নিউজবাংলাকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) ইসমত আরা।

তিনি বলেন, ‘গত বছরের ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকীতে বোয়ালিয়া বৌরতলা দাখিল মাদ্রাসা কেকের পরিবর্তে পাউরুটি কাটা হয়। অনুষ্ঠানটি ফেসবুকে লাইভ প্রচার করেন শিক্ষক গোলাম কবির। ব্যঙ্গাত্মক এই আয়োজন ফেসবুকে দেখে স্থানীয়রা গোমস্তাপুর থানায় খবর দেন।

‘পুলিশ দুই মাদ্রাসা সুপার আব্দুস সালাম ও শিক্ষক গোলাম কবিরকে আটক করে। পরে রাতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইউনুস আলী।’

আলোচিত এ মামলায় সাতজনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে।

প্রবেশনের শর্তগুলো হলো- প্রবেশনকালীন আসামিরা কোনো প্রকার অপরাধের সঙ্গে জড়িত হবেন না বা একই ধরনের অপরাধ করবেন না। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের গৌরবের ইতিহাস সম্পর্কে নিজেরা পড়বেন এবং সহকর্মী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জানাবেন; আদালত এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তলব করলে যথাসময়ে উপস্থিত হবেন; প্রবেশনকালীন জাতির পিতার নিজ হাতে লেখা তিনটি বই ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’, ‘কারাগারের রোজনামচা’ ও ‘আমার দেখা নয়াচীন’ পড়বেন। এ ছাড়া জাহানারা ইমামের ‘একাত্তরের দিনগুলি’ এবং রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের লেখা ‘একাত্তরেরর চিঠি’ বইগুলো পড়বেন। দুই আসামি প্রবেশনে থাকার সময় ১০টি করে ফলদ ও ১০ বনজ বৃক্ষের চারা রোপণ করবেন।

ইসমত আরা জানান, সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রবেশন কর্মকর্তা অভিযুক্ত দুই আসামির প্রবেশনের শর্ত মানার বিষয়টি তদারকি করবেন। এ দুই শিক্ষকের ক্ষেত্রে তিন মাস পরপর তাদের শর্ত প্রতিপালন ও অগ্রগতি সম্পর্কে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য প্রবেশন কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

আসামিদের প্রবেশনের সময় সন্তোষজনক হলে তাদের এই দণ্ড চাকরিসহ ভবিষ্যৎ জীবনে কোনোরূপ অযোগ্যতা বলে গণ্য হবে না বলে আদালত উল্লেখ করেছে।

এ বিভাগের আরো খবর