কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে কয়েকজন অধ্যক্ষ ও শিক্ষকের ওপর হামলায় জড়িতদের অপসারণ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে বেসরকারি কৃষি ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউট অ্যাসোসিয়েশন।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ বেসরকারি কৃষি ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউট অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এ দাবি করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা জানান, প্রায় তিনশ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা দীর্ঘ ১৭ বছর যাবৎ বেতন ভাতা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। বার বার লিখিত আবেদন করেও কোন সুরাহা না পেয়ে গত ২৩ জানুয়ারি কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের ডিজির (মহাপরিচালক) সঙ্গে দেখা করতে গেলে শিক্ষকদের ওপর আকস্মিক হামলা ও পাঁচ শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।
বক্তারা এ সময় কয়েক দফা দাবি তুলে ধরেন।
দাবিগুলো হলো
১. কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে অধ্যক্ষ ও শিক্ষকদের ওপর নারকীয় হামলায় জড়িতদের অপসারণ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। এছাড়া এই নারকীয় হামলায় জড়িতদের সারা দেশের শিক্ষক সমাজের কাছে নিঃশর্তভাবে ক্ষমা চাইতে হবে।
২. কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরসহ সৎশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে কারিগরি বান্ধব, মানবিক ও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি সম্পন্ন দক্ষ কর্মকর্তাদের পদায়ন/ দায়িত্ব প্রদান এবং কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের এমপিও কার্যক্রম ডিজিটালাইজড ও ডিসেন্ট্রেলাইজড করতে হবে।
৩. কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে এমপিওভুক্তির জন্য আবেদিত শিক্ষক-কর্মচারীদেরকে নীতিমালা অনুসারে কম শিক্ষাগত যোগ্যতা জনবল কাঠামোর প্রাপ্যতা বিবেচনায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে বেতন-ভাতাদি ছাড় করতে হবে।
৪. এমপিও শাখাসহ কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে বেসরকারি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দক্ষ ও অভিজ্ঞ শিক্ষক-কর্মচারীদের ডেপুটেশনে পদায়ন/দায়িত্ব প্রদান, বেসরকারী কারিগরি প্রতিষ্ঠানে ল্যাবঃ, অবকাঠামো উন্নয়ন, সকল শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রদানসহ বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
৫. বর্তমান জব মার্কেটের প্রতিযোগিতায় যোগ্যতাভিত্তিক দক্ষ জনশক্তি তৈরী ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবিলার জন্য বিশ্বায়নের প্রতিযোগিতার উপযোগী দক্ষ জনশক্তি তৈরীর লক্ষ্যে বিভিন্ন দেশের কারিগরি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সহযোগিতার কর্মসূচী চালু করতে হবে।